জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভারত থেকে কোথায় যাবেন তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ব্রিটেনে চলে যাওয়ার একটা জল্পনা ছিল। এর মধ্যেই শেখ হাসিনাকে ব্রিটেনে যাতে আশ্রয় না দেওয়া হয় তার জন্য সরব হলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ এমপি।
রূপা হক নামে ওই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লোবার পার্টির ওই এমপি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে এক নিবন্ধে লেখেন, শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ কতটা ‘বিশৃঙ্খল’ ছিল তা নিয়ে গান গেয়েছিলেন জর্জ হ্যারিসন। গত সপ্তাহে তিনি আবার সঠিক প্রমাণিত হলেন। সেই সঙ্গে ইরাকের বিখ্যাত নেতা সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো ঘটনার প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে। ‘জাতির পিতা’ বলে ঘোষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, কুশপুতুল পোড়ানো হল, যা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট (যুক্তরাজ্যের একটি পৌরসভা) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রূপা হক লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারী’ কন্যা শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় অংশই শাসন করেছেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, শেখ হাসিনা শুধু শাড়ি পরা একজন বৃদ্ধাই নন, ‘বর্বর’ শাসকও। সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে তিনি ভারতে নির্বাসিত হন।
রূপা হক লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেখ হাসিনার শাসনামল ব্যাপকভাবে সমালোচিত। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নিজস্ব অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
সবশেষে রূপা হক লেখেন, তবে ঝুঁকি এখনো থেকেই যাচ্ছে। এরপরও আশা করি, সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। দুই পরিবারের চিরবৈরিতা যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস রূপায়ন করে, সেখানে ভবিষ্যতে যখন সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে, তখনই সবকিছু নতুন করে শুরু করার উৎকৃষ্ট সময় হবে।
(Feed Source: zeenews.com)