ধর্ষিতা হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করছে এক কিশোরী। আর সেই চিৎকার শুনে অর্ধনগ্ন অবস্থাতেই বন্দুক হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন এক শিক্ষক। এভাবেই শিক্ষকের সাহসিকতার জন্য ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেল কিশোরী। ঘটনাটি টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টি এলাকার। কিশোরীকে শিক্ষকের বাঁচানোর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। শিক্ষকের এমন সাহসিকতার জন্য প্রশংসা করেছেন প্রতিবেশী থেকে শুরু করে নেটিজেনরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ জুলাই। ওই এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাইরে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ওই শিক্ষকের নাম ডেভিড গারজা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাতে বাস থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছিল বছর ১৫-এর কিশোরী। সেই সময় এক ব্যক্তি তাকে কিছু ধাওয়া করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করে। পরে ওই শিক্ষক একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখি একজন ব্যক্তি মাটিতে ফেলে মেয়েটিকে মারধর করছে। তার কাপড় খুলে ফেলার চেষ্টা করছে। মেয়েটির চুল ধরে রেখেছে। তা দেখার পরেই আমি দৌড়ে বাইরে চলে যায়। আমার কাছে বন্দুক ছিল। বাইরে বেরিয়ে ওই ব্যক্তির দিকে বন্দুক তাক করে আমি জিজ্ঞেস করলাম কী হচ্ছে? তখন মেয়েটি চিৎকার করে বলে উঠল, আমার বয়স ১৫, আমাকে বাঁচান। তখন আমি ওই ব্যক্তিকে দ্রুত তার ওপর থেকে সরে যেতে বলি।’ এভাবে ওই ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে গেলে কিশোরী রক্ষা পায়।
একজন প্রতিবেশী জানান, তিনি প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো কিশোরী ধর্ষণের শিকার হতে চলেছে। তবে শিক্ষক সাহস না দেখালে হয়ত মেয়েটিকে রক্ষা করা যেত না। শিক্ষক জানান, তিনি ভয় পেয়েছিলেন। তবে ভয় থাকা সত্ত্বেও তিনি কিশোরীকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভবিষ্যতেও এরকম করবেন বলে জানান। এদিকে, এই ঘটনার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। তাকে শনাক্ত করার জন্য জনসাধারণের কাছে সহায়তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির পরনে সাদা লোগো যুক্ত একটি গেঞ্জি, নীল জিন্স এবং সাদা জুতো ছিল। কিশোরীর কাছ থেকে অভিযুক্তের বিবরণ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
(Feed Source: hindustantimes.com)