জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরও একবার বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। লাগাতার খুন, মহিলাদের ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে আন্দোলন চলাকালীন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঠোর না হলে ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডির সাংসদ। কঙ্গনার এই মন্তব্যে তার নিজের দলের মধ্যেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে বড়সড় আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশের কৃষকরা। রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই সেই আইন প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। কঙ্গনার মতে, কৃষকদের সামনে রেখে দেশ বিরোধি বিদেশি শক্তি এই আন্দোলনের নেপথ্য়ে ছিল। আর মোদী সরকার এই আইন যা কৃষকদেরই হৃতে তৈরি করা হয়েছিল, তা তুলে নেবে একথা কল্পনা করতে পারেনি আন্দোলনকারীরা। যে কারণেই বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি কঙ্কনার।
রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সরকার আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষকরা ভাবতেই পারেনি এত সহজে বিষয়টা মিটে যাবে। ওই উগ্রপন্থীরা বড়সড় ও দীর্ঘ ষড়যন্ত্র করেছিল। যেমনটা বাংলাদেশে হয়েছে। আইন প্রত্যাহারের পর এখনও ওরা ওখানে বসে রয়েছে।” এমনকী কঙ্গনা এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা এখানেও সহজেই ঘটতে পারত’ বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র আছে এবং এই সিনেমার জগতের মানুষেরা সামনে-পিছনে না ভেবে সেটাই রপ্ত করে। দেশ রসাতলে গেলে তাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু তারা এটা বোঝে না দেশ রসাতলে গেলে তুমি রসাতলেই যাবে। প্রতিদিন তাদের এটা বুঝিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’
পাঞ্জাবের সিনিয়র বিজেপি নেতা হারজিৎ গারেওয়াল কঙ্গনাকে এ ধরণের উস্কানিমূলক মন্তব্য় না করার পরামর্শই দেন। তিনি বলেন, কৃষকদের বিষয়ে কথা বলা কঙ্গনার বিষয় নয়, কঙ্গনার বক্তব্য ব্যক্তিগত। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপি কৃষক বান্ধব। বিরোধী দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে আর কঙ্গনার বক্তব্যও তাই প্রমাণ করছে। যদিও সংবেদনশীল বা ধর্মীয় বিষয়ে, ধর্মীয় সংগঠনের বিষয়ে তার এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়।
(Feed Source: zeenews.com)