জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আগেই বলেছিলেন পথে নামবেন, সম্প্রতি একটি গান বাঁধেন অরিজিত্। তাঁর যে এক্স প্রোফাইল নিয়ে চর্চার শেষ নেই, যে প্রোফাইল অনেকেই ফেক বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন সেই এক্স হ্যান্ডেল থেকে সম্প্রতি লাইভে এসে আর জি কর নিয়ে বেশ কিছু মতামত প্রকাশ করেন অরিজিত্। শেয়ার করেন একটি গানও, ‘আর কবে?’। শুক্রবার আচমকাই অরিজিত্-কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার সকালে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?’
অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো।
তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি।
কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে।
কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 30, 2024
এর কিছু সময় পরেই এক্স হ্যান্ডেলে অরিজিত্ লেখেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি। মিডিয়ায় কিছু নতুন তথ্য উঠে আসছে- ফোন কলস, নীল বা সবুজ চাদর, সেমিনার হলের দুই দরজা। এটা পরিষ্কার যে কিছু তো একটা লুকানোর চেষ্টা চলছে। কিছু একটা হবেই। শিক্ষক দিবসের অপেক্ষা’। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির দিন ৫ সেপ্টেম্বর, তথা শিক্ষক দিবসের দিন। সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন অরিজিত্ সিং।
২৮ অগাস্ট অরিজিৎ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখেন, ‘২০২৪ সালের ৯ অগস্ট, কলকাতার কেন্দ্রস্থলে ঘটা একটি ট্র্যাজেডি গোটা জাতিকে তাঁর মূল থেকে উত্খাত করেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক তরুণ শিক্ষানবিশ ডাক্তারের নৃশংস খুনের প্রতিবাদের আগুনের ঝড় তুলেছে ভারত জুড়ে। এই গানটি ন্যায়বিচারের জন্য একটি আর্তনাদ, অগণিত নারীদের গলার আওয়াজ, যা নিয়ে তাঁরা ভুক্তভোগী। চলুন আমরা সকলে ‘অভয়া’-এর সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যে তরুণ ডাক্তার মারা গিয়েছেন, যিনি নির্ভয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য নিয়ে মহিলারা যে লড়াই করে চলেছেন, তার হয়ে গলা তুলি আমরা। আমাদের এই গান, সারা দেশের ডাক্তারদের কণ্ঠস্বর, যারা বিপদের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও অক্লান্তভাবে সেবা করে। এটি কেবল একটি প্রতিবাদী গান নয়- এটি একটি ডাক যে, মহিলাদের সুরক্ষা এবং মর্যাদার জন্য আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি।’
(Feed Source: zeenews.com)