রাজীব চক্রবর্তী: যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘ডিজিটাল মিডিয়া পলিসি-২০২৪’-এর বিরুদ্ধে সরব প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। নতুন এই আইনের একটি ধারা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি তুলল প্রেসক্লাব অফ ইন্ডিয়া। এই ধরনের ‘মধ্যযুগীয় আইন’-এর আড়ালে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার প্রয়াস বলেই মনে করছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। অবিলম্বে এই ধারা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া।
Press Club of India’s statement on UP Government’s Digital Media Policy 2024
The government should not encroach upon the space that the Constitution allows journalism.
We demand that the @UPGovt withdraws clause 7(2) from its Digital Media Policy 2024 with immediate effect. pic.twitter.com/EjHTJ8bvU5
— Press Club of India (@PCITweets) August 30, 2024
শুক্রবার পিসিআইয়ের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের এই ডিজিটাল মিডিয়া পলিসির ৭(২) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে – কোনও কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কাজ যদি “দেশ বিরোধী”, “সমাজ বিরোধী”, “সরকারকে ছোট করা” অথবা “কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা” হয়, তাহলে সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে যোগী সরকারের ডিরেক্টর অফ ইনফরমেশন। যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই সংবিধান প্রদত্ত বাক্ স্বাধীনতা হরণের সমতুল বলে মনে করছে রাজধানী দিল্লির সাংবাদিক সংগঠন পিসিআই।
প্রসঙ্গত, ভুয়ো খবর, দেশ বিরোধী খবর প্রচার করলে রেয়াত করবে না সরকার। নতুন সোশ্যাল মিডিয়া পলিসি অনুমোদিত উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভায়। ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব-সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ। আইন অমান্য করলে তিন থেকে যাবজ্জীবন জেল হতে পারে। এমনই সোশ্যাল মিডিয়া ফরমান জারি করতে চলেছে যোগী সরকার।
নতুন নীতির অধীনে, দেশবিরোধী বিষয়বস্তু পোস্ট করা গুরুতর অপরাধ যা গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে, যার শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত। পূর্বে, তথ্য প্রযুক্তি (IT) আইনের ধারা 66E এবং 66F এর অধীনে এই ধরনের পদক্ষেপগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যা যথাক্রমে গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং সাইবার সন্ত্রাসের সঙ্গে মোকাবিলা করে।
(Feed Source: zeenews.com)