প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যায় ভাসছে ভাদোদরা। চারদিক জলে থইথই। এর মধ্যেই রাস্তায় চলছে বুলডোজার। আর তার মেটাল স্কুপে দাঁড়িয়ে হাসি হাসি মুখে বন্যা ‘উপভোগ’ করছেন ৬ বিদেশি পর্যটক। এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘আওয়ার ভাদোদরা’ নামের হ্যান্ডেল থেকে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে এক্স প্ল্যাটফর্মে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, বুলডোজারে চেপে বন্যা দেখতে বেরিয়েছেন বিদেশি পর্যটকরা। অবাক চোখে প্লাবন দেখছেন। খুনসুটি করছেন নিজেদের মধ্যে। এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই বলছেন, কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ।
শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে। তবে গুজরাতের বেশিরভাগ নদীই বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। বেশ কিছু শহর ও গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বামিত্রী নদী ফুলেফেঁপে ওঠার কারণেই প্লাবিত হয় ভাদোদরা। বর্তমানে বেশিরভাগ অংশেই জল কমছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে শহর।
গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। তার জেরেই গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি হয়। তবে বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আপাতত অভিমুখ ঘুরিয়ে ওমানের দিকে আরব সাগরে চলে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়।
কচ্ছের কালেক্টর অমিত আরোরা বলেছেন, “উপকূলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে স্থানীয় প্রশাসন ৩৫০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। মাটির বাড়ি এবং কুঁড়েঘরে যাঁরা থাকেন, তাঁদেরকেও পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।’’
তিনি আরও বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যেই আরব সাগরে প্রবেশ করেছে। অভিমুখ রয়েছে ওমানের দিকে। প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া ছাড়া এই অঞ্চলে বড় কোনও প্রভাব পড়েনি। হতাহতের কোনও খবর নেই। কোনও বড় কাঠামো ভেঙে পড়ার খবরও আমরা পাইনি।“
শুক্রবার সন্ধ্যায় জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএমডি জানায়, পাকিস্তানের কচ্ছ উপকূল এবং সংলগ্ন অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় আসনায় রূপান্তরিত হয়েছে। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভূজের প্রায় ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সবের মধ্যেই সামনে এসেছে বিদেশি পর্যটকদের বন্যা দেখার ভিডিও। রীতিমতো খুশি মেজাজে প্লাবিত শহর দেখতে বেরিয়েছেন তাঁরা। এই ভিডিও দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, দেশে ‘ফ্লাড ট্যুরিজম’ কবে থেকে চালু হল?
(Feed Source: news18.com)