নিজস্ব প্রতিবেদন: বাণিজ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষা– তিনটে বস্তুকেই কি একসূত্রে গাঁথা যায়? যদি যায়, তবে কী ভাবে সেটা সম্ভব? এই প্রশ্নটাই একদা ঘুরপাক খেয়েছিল তাঁর মনে, আর তিনি এর সহজ রাস্তাটাও বার করে ফেলেছিলেন। তিনি আর কিছু না ভেবে সটান ডিজিটাল লিটারেসির দিকে ঝুঁকেছিলেন।
তিনি প্র্যাক্সিস বিজনেস স্কুলের কো-ফাউন্ডার প্রফেসর চরণপ্রীত সিং। এই শহরের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদদের অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরেই সামগ্রিক ভাবে ডিজিটাল ক্ষেত্রের প্রসারণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন প্রফেসর সিং। সেই ২০১৯ সালেই তাঁর শিক্ষাক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠা দিবসে তাই তিনি ডিজিটাল লিটারেসি প্রোগ্রাম শুরু করেছিলেন, যার নাম ছিল– Praxis Digital Literacy Program।
সদ্য (১১ জুন বিকেল ৫টায়) বাকড়াহাট ক্যাম্পাসে একটি কনভোকেশন আয়োজিত হল এই স্কুলের। ২০২০-২১ সালে যেসব পড়ুয়ারা পাশ করেছেন করোনা-পর্ব চলায় তাঁদের পক্ষে কোনও কনভোকেশনে অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁদের জন্যই এই সমাবর্তনের আয়োজন হয়।
সেই সূত্রেই প্রফেসর চরণপ্রীত সিং-এর হাল আমলের ডিজিটাল ভাবনা-চিন্তার প্রসঙ্গ উঠে আসে। হাল আমলের ডিজিটাল জুনিয়ার ভালোমন্দ আশা-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বাক্যালাপ করতে গিয়ে তিনি খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করে বলেন, আজকাল এমন কোনও ক্ষেত্র বাকি নেই, যেখানে ডিজিটাল অ্যাকসেস পৌঁছয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রে, ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে, খাবার-দাবার আনানোর ক্ষেত্রে, বিনোদনের ক্ষেত্রে, রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে, খেলাধূলার ক্ষেত্রে– দৈনন্দিন জীবনে কত কত পরিসর রয়েছে যেখানে বিষয়টা ধীরে ধীরে ‘ডিজিটালে’র দিকে ঝুঁকেছে। ফলে ডিজিটাল ক্ষেত্রটাও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এটা বলতে গিয়ে প্রফেসর সিং বলেন, এটা এখন একটা ‘চেঞ্জড ওয়ার্ল্ড’। আর পরিবর্তিত এই বিশ্বে নতুন প্রজন্মকে তাদের ‘স্কিল চেঞ্জ’ও করতে হবে। সেই স্কিল চেঞ্জের ক্ষেত্রে বা সেই স্কিলের উন্নতির ক্ষেত্রে একটা স্পেস দেয় তাঁর প্রতিষ্ঠান।
চরণপ্রীত সিং ডিজিটাল দুনিয়ার পরিসরের কথা বলতে গিয়ে ডিজিটাল নিউজের প্রসঙ্গেও আসেন। প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি এই মুহূর্তে ডিজিটাল মিডিয়াও দারুণ ভাবে প্রসারিত হয়েছে। ডিজিটাল-দুনিয়ায় খবর অনেক দ্রুত তৈরি হচ্ছে, দ্রুত পরিবেশিত হচ্ছে, পাঠক তাঁর হাতের স্মার্টফোনটিতে যাবতীয় খবর লহমায় পেয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় চরণপ্রীত সিং পরামর্শ দিচ্ছেন, দ্রুত খবর পরিবেশন করতে গিয়ে কোনও ভাবে যেন খবরের গুণমানের সঙ্গে আপস না করা হয়। ডিজিটাল আমলে বিশেষ করে ‘অথেনটিসিটি অফ নিউজে’র উপর জোর দেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি ডিজিটাল মিডিয়ার পাঠকের দায়িত্বজ্ঞানের উপরও জোর দেন। তিনি বলেন, অতি দ্রুত খবর পরিবেশনের এই যুগে পাঠকেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকে। উত্তেজিত না হওয়া এবং উত্তেজনা না ছড়ানোর দায়িত্ব ও সচেতনতা। তাঁদের অনেক বেশি সংবেদনশীল হতে হবে। ডিজিটাল মাধ্যম মারফত তথ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে জনসাধারণের সচেতনতা ও বিচারবিবেচনারও একটা বড় জায়গা থেকে যায়। ফলে ফিলট্রেশনটা উভয়তই কাম্য।
(Source: zeenews.com)