#নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার জরুরি বৈঠকে বসছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। এক দিকে যখন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে শরদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াই করতে চান না, তখনই এ বার উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল, মহাত্মা গান্ধির নাতি গোপালকৃষ্ণ গান্ধির নাম। সম্ভবত তাকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করতে চাইছে এই বিরোধী সমন্বয়ের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোপালকৃষ্ণ গান্ধির সু-সম্পর্কের বিষয়ে সকলেই অবিদিত। তাঁকেই এ বার রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের দাবিদার হিসাবে তুলে ধরতে চাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, ভাবনা চিন্তা করতে বেশ কিছুটা সময় চেয়েছেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধি।
মঙ্গলবার দিল্লিতে পৌঁছন মমতা। বুধবারের বৈঠকের আহ্ববান তিনি আগেই করেছিলেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে পৌঁছেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সন্ধ্যা নাগাদ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়ে দেন, শরদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে চান না। এনসিপির অন্দর থেকেও সেই রবই তৈরি হয়। শরদের সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি স্পষ্ট হতেই নতুন নাম নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। মঙ্গলবার এক বার উচ্চারিত হয় গুলামনবি আজাদের নামও। কিন্তু সূত্রের খবর, বিরোধীদের একটা বড় অংশ গোপালকৃষ্ণ গান্ধির নামকেই সমর্থন করেছেন।
জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে, মোট ২২টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একটি বৈঠকে আহ্ববান জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে বুধবার হাজির হয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, আরজেডি, ন্যাশনাল কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, জেএমএম, শিবসেনা, আইইউএমএল, পিডিপি, জেডিএস ও আরএলডি-এর মতো দল। তবে মিটিংয়ে থাকতে অস্বীকার করেছে বিজেডি, আমআদমিপার্টি, তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ও শিরোমণি অকালি দলের মতো সংগঠন। কংগ্রেস থাকার কারণে সরে এসেছে টিআরএস ও শিরোমণি অকালি দল।
গোপালকৃষ্ণ গান্ধিকে বিরোধী শিবির প্রার্থী করতে চাইলেও তিনি সময় চেয়েছেন বলেই খবর। ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি লড়াই করেছিলেন, কিন্তু এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে তিনি পরাস্ত হন। সূ্ত্রের খবর, কয়েকজন বিরোধী নেতা গান্ধির সঙ্গে ইতিমধ্যে ফোনে কথাও বলেছেন, অনুরোধ করেছেন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিতে। যদি কোনও কারণে গান্ধি রাজি না হন, তা হলে অন্য কয়েকটি নামও ভেবে রেখেছে শিবির, তাঁদেরও অনুমতি চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। গোপালকৃষ্ণ গান্ধি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত।