
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি করে ভয়ংকর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনার ভয়াবহতায় বাংলা উত্তাল। কেরালার ফিল্ম জগত থেকে তেলুগু-তামিল হয়ে বলিউডেও এরই মধ্যে আছড়ে পড়েছে যৌনশোষণের একাধিক অভিযোগ। মিটু সুনামির আওতা থেকে বাদ যায়নি টলিউডও। তবে এই একই কারণে, দেশের মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হলে– তা নিঃসন্দেহে বেনজির। ভুল পড়ছেন না! ঠিক এমনটাই ঘটেছে। মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে চাকরি গেছে মানবাধিকার মন্ত্রীর! তবে ঘটনা ভারতের নয়, ব্রাজিলের।
ব্রাজিলের মানবাধিকারমন্ত্রী সিলভিও আলমেইডাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার এক সদস্যসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।
জানা যায়, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে মানবাধিকারমন্ত্রী সিলভিও আলমেইডাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সিলভিও আলমেইডার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এমন সব অভিযোগ উঠেছে যে প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, তাকে আর দায়িত্বে রাখা নৈতিকভাবে উচিত হবে না।’
আলমেইডার বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন আলমেইডা। বরখাস্ত হওয়ার পর বিবৃতিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীন তদন্তের স্বার্থে তিনি নিজেই প্রেসিডেন্ট লুলাকে বলেছেন তাকে বরখাস্ত করতে।
আলমেইডা বলেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার ও নিজেকে পুনর্গঠিত করতে সুযোগ চান। প্রকাশ্যে আসতে দিন, যাতে আমি আইনত ভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে পারি।
বরখাস্ত হওয়ার আগেই এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে বলে দাবি করেন আলমেইডা। এছাড়াও তিনি বলেন মিথ্যা অভিযোগ একটি অপরাধ।
আলমেইডার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা নারীদের অন্যতম তাঁরই সহকর্মী আরেক মন্ত্রী। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, ব্রাজিলের জাতি ও বর্ণবৈষম্যবিরোধী মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা অ্যানিয়েল ফ্রাঙ্কো।এ ব্যাপারে সিলমোহরও দিয়েছেন স্বয়ং ফ্রাঙ্কোই। তিনি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন, আমাকে যখনই ডাকা হবে, তখনই তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করব।
জল এত দূর গড়িয়েছ যে, প্রেসিডেন্ট লুলা এক রেডিয়ো সাক্ষাৎকারে জানাতে বাধ্য হয়েছেন, মহিলাদের হয়রানি করেন, এমন কেউ তাঁর সরকারে থাকতে পারবেন না।
২০২৩ সালে সরকার গঠনের সময় থেকে লুলার মন্ত্রিসভায় আছেন আলমেইডা ও ফ্রাঙ্কো। দুজনেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচিত।
(Feed Source: zeenews.com)
