
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিছু মাস আগেও তিস্তার জল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামবেন তিনি। শেখ হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ক মোদীর, পাশাপাশি একই রকম সুসম্পর্ক মমতারও। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তার জলবন্টনে মমতার হস্তক্ষেপ জরুরি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা নদীর জলবণ্টন চুক্তি বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করার উপায় নিয়ে ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস। তাহলে ইউনূস কি মধ্যস্থতা করতে মমতার দ্বারস্থ হবেন?
সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মহম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, এতে কোনো দেশেরই লাভ হচ্ছে না। আমি যদি জানি যে আমি কতটুকু পানি পাব, তাহলে এটি ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি না-ও হই, তাতেও সমস্যা নেই। বিষয়টির সমাধান হতেই হবে। দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে।বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে। আমরা সেই অধিকার চাই’।
তিস্তার জলবণ্টন চুক্তির বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটা নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং খুবই পুরনো বিষয়। আমরা বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে কথা বলেছি। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু। আমরা সবাই যখন ওই চুক্তি চূড়ান্ত করতে চেয়েছি, এমনকি ভারত সরকারও প্রস্তুত ছিল; তখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এর জন্য তৈরি ছিল না। আমাদের এটির সমাধান করতে হবে’।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জলসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি পিটিআইকে বলেছেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা আবারও শুরু করার জন্য চাপ দেবে ঢাকা। উজান ও ভাটির দেশগুলোর মধ্যে পানিবণ্টন নিয়ে (অভিন্ন নদীর) দুই দেশকেই (ভারত-বাংলাদেশ) আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হবে’।
(Feed Source: zeenews.com)
