জনি ওয়াকার ও নূরজাহানের প্রেমের গল্প, চম্পীর দক্ষতায় পারদর্শী ছিলেন, বাসে অভিনয় করতে গিয়ে ফিল্মস্টার হয়েছিলেন, শুটিংয়ের সময় জীবনসঙ্গী পেয়েছেন- স্বীকৃতি?

জনি ওয়াকার ও নূরজাহানের প্রেমের গল্প, চম্পীর দক্ষতায় পারদর্শী ছিলেন, বাসে অভিনয় করতে গিয়ে ফিল্মস্টার হয়েছিলেন, শুটিংয়ের সময় জীবনসঙ্গী পেয়েছেন- স্বীকৃতি?

জনি ওয়াকার ও নূরজাহানের প্রেমের গল্প


নয়াদিল্লি:

যে মাথাটা মাথা ঘুরিয়ে দেয় বা হৃদয় ডুবে যায়… তেল মালিশ করে… গানটা শুনে একটা মুখ ভেসে আসে। একই মুখ এবং একই অভিনেতা যিনি কখনও আমাদের হাসাতেন কখনও পর্দায় কাঁদিয়েছিলেন, তবে তিনি যা করেছেন তা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। জানলে অবাক হবেন, চলচ্চিত্র জগতের ক্ল্যাসিক শিল্পী হয়ে ওঠা জনি লিভার বেস্টের বাসে কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। যাত্রার সময় তিনি যাত্রীদের অনেক আপ্যায়ন করতেন। আমার মনে একটাই কথা ছিল যে, কে জানে, একদিন হয়তো কেউ খেয়াল করবে এবং আমি চাকরি পেতে পারি। মজার ব্যাপার হলো তার জীবনেও মোচড় এসেছে একইভাবে।

বলরাজ সাহনি সেই সময়, হয় তিনি বাঘির স্ক্রিপ্ট লিখছিলেন বা হাস্টলে কাজ করছিলেন, তিনি জনিকে গুরু দত্তকে একজন মাতাল হিসাবে অভিনয় করতে বলেছিলেন। বলরাজ সাহনির সঙ্গে এই সাক্ষাতের কারণেই ছবিতে কাজ পান জনি। গুরু দত্তই বিখ্যাত হুইস্কি ব্র্যান্ডের নামানুসারে বদরুদ্দিন জামালউদ্দিন কাজী জনি ওয়াকারের নামকরণ করেছিলেন।

ফিল্মের সেটেই জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন

আর পার (1954) চলচ্চিত্রের সেটে জনি তার স্ত্রী নূরজাহানের সাথে দেখা করেন। জনি নূরজাহানকে দেখার সাথে সাথে তার প্রেমে পড়ে এবং 1955 সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সন্তান ও বাড়ির দায়িত্ব নিতে চলচ্চিত্র জগতকে বিদায় জানান নূরজাহান। নূরজাহান ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাকিলার বোন। জনি ও নূরজাহানের তিন মেয়ে ও তিন ছেলে ছিল। জনি নিজে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পড়াশুনা করতে পারেনি এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতেই স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। সেজন্য তিনি তার সন্তানদের আমেরিকায় পড়তে পাঠান।

(Feed Source: ndtv.com)