#কলকাতা: পুলিশের ব্যারাকের দোতলার জানলা ভেঙে পড়ে মৃত পথচারী। গতকাল সন্ধ্যার ঘটনা। তার পরে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় লালবাজার এলাকায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ব্যক্তি বলে সূত্রের খবর। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ কুরবান মণ্ডল (২২) এবং তাঁর আরও দুই বন্ধু মিলে প্রতিদিনের মতো কাজ থেকে ফিরছিলেন।
লালবাজারের বিপরীতে রবীন্দ্র সরণির উপর পুলিশ ব্যারাকের পাশেই বস্তিতে থাকত কুরবান। পুলিশ ব্যারাক অতিক্রম করার সময় রবীন্দ্র সরণির ফুটপাথের উপর দিয়ে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গত রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ যখন হালকা বাতাস শুরু হয়, তখন ওই বিল্ডিংয়ের দোতলা থেকে একটি কাঠের জানালা ভেঙে পড়ে। আঘাত লাগে ওই যুবকের মুখমণ্ডলের সামনের অংশে। তৎক্ষণাৎ গুরুতর আহত হয়ে ফুটপাথে পড়ে যান কুরবান। ওখানেই জ্ঞান হারান বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
সঙ্গে সঙ্গে ওখান থেকে সবাই মিলে ধরে তাঁকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কুরবান পেশায় কাঠমিস্ত্রি। এখানে স্ত্রী এবং বছর খানেকের এক সন্তান নিয়ে থাকতেন। বাড়ি হাওড়া জেলার নারিটে। ঘটনার পরেই পরিবার ও এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতের শুভাকাঙ্খীদের বক্তব্য, “সংসারে একমাত্র ওই রোজগেরে ছিল। যদি পুলিশ কিছু সাহায্য করে কিংবা পরিবারের কারও চাকরির ব্যবস্থা করে তাহলে খুব সুবিধা হয়।” আপাতত সংসারটা বেঁচে যাবে বলে তাদের দাবি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,রবীন্দ্র সরণির উপর পুলিশ ব্যারাকের রাস্তার দিকের কাঠের জানালা খোলা রয়েছে। অনেকেই বললেন, কালকের ঘটনার পর থেকে স্থানীয় মানুষেরা ওই খান দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন। ওই বিল্ডিং থেকে আরম্ভ করে জানালাগুলি দীর্ঘদিন ধরে কোনও ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে দাবি স্থানীয়দের।
কেউ কেউ বললেন ,ইদানিং কালে সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি,যদি আগে থেকে ঠিক ঠাক ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে এই তরতাজা প্রাণ যেত না। আজ মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো কখনও কোনও আশ্বাস পায়নি পরিবার।