#কলকাতা: প্লাস্টিক দূষণ কমাতে কড়া হাতে পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই পুরসভার কাছে নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ তৈরি করা, মজুত করা, বিক্রি করা এবং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে হতে পারে জরিমানা। অর্থাৎ কোনও ক্রেতাও যদি ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ নিয়ে যদি বাজার করেন তাহলে জরিমানা হবে তাঁরও।
মন্ত্রী ও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম জানান, “আমাদের পলিউসন কন্ট্রোল বোর্ডের নোটিফিকেশন অনুযায়ী পয়লা জুলাই থেকে কলকাতা-সহ সমস্ত আরবান এলাকায় ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা যারা দেবেন তাঁদের উপরেও ফাইন যারা নেবেন তাদের উপরেও ফাইন ইমপোজ করা হচ্ছে। এটা পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড করেছে। আমাদের পুরসভার কাছে নোটিফিকেশন করা হচ্ছে। যে নোটিফিকেশনে আমরাও নজর রাখব ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যবহার যাতে না হয়। কারখানাগুলোতে নজর রাখা হবে। যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যেমন বলবে আমরা সে রকম করব।”
যদিও প্রশাসনের এই উদ্যোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। মানিকতলার বাসিন্দা মানিক রায় বলেন, “উদ্যোগটি ভালো কিন্তু একজন সাধারন মানুষের পক্ষে কীভাবে বোঝা সম্ভব যে প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগটি কতো মাইক্রনের। ৭৫ এর বেশি না কম সেটা ক্রেতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। প্রশাসনের উচিত একটা বিকল্প ব্যবস্থা করা।” সল্টলেক করুণাময়ীর বাসিন্দা শান্তনা দাস বলেন, “প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত। অনেক আগেই এটা করা উচিত ছিল। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তবে দেরিতে হলেও এটা ভাল কাজ হয়েছে। এই প্লাস্টিক ব্যাগের জন্য নর্দমায় জল জমে যায়। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও অনেকেই এই প্লাস্টিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে এর ফলে বায়ু দূষণ হয়। পুকুর থেকে মাটি সব জায়গা দূষিত করে চলেছে এই অপচনশীল বস্তুটি। প্রশাসন কত নজর দেবে। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে সমস্যা মিটবে না।”
বেলেঘাটার বাসিন্দা চন্দন রায় বলেন, “এই রকম উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছিলো। কোনও কাজ হয়নি। এখনও যে কোনও বিরাট পার্থক্য হবে বলে মনে হয় না। কারণ প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারে। আর বিক্রেতারা সস্তায় এটা আনতে পারে। যতদিন না পর্যন্ত বাজারে তার বিকল্প আনা যাবে ততদিন কিছুই সম্ভব নয়। সে যতই জরিমানা করা হোক বা যতই প্রচার করা হোক।”
UJJAL ROY