হেয়ার ড্রেসার গিল্ড এবং ফেডারেশনের ‘আঁতাতে’ একের পর এক কাজ হারানোর অভিযোগ তোলেন মহিলা কেশসজ্জা শিল্পী। অভিযোগ বার্তায় নিজের দুরবস্থার কথা জানিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। গায়ে আগুন লাগিয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়। তারপরে থেকেই তোলপাড় টলিউড। ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় জানান, হেয়ার ড্রেসার হোক কিংবা অন্য যে কোনও টেকনিশিয়ান, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ব্যানড কালচারের বিরোধী আমরা। ওই কেশসজ্জা শিল্পীর সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটা অত্যন্ত অন্যায়। কারও কাজ এইভাবে বন্ধ করার কোনও অধিকার গিল্ডের নেই। আমরা নতুন করে ফেডারেশনের কাছে কিছু জানাবো না। আইনি পথে এগোব। আইন আইনের মতো কাজ করবে।
এদিন হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আইন আইনের মতো চলবে। আমরা ফেডারেশনের যে অভিযোগ পেয়েছি সেই মতো সুরক্ষা বন্ধু কাজ করছে। ওই কেশসজ্জা শিল্পীকে কখনওই সেভাবে সাসপেন্ড করা হয়নি। তিনি কাজ পেয়েছেন। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, আইনি পথে আমরাও এগোবো।’
তড়িঘড়ি শিল্পীকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত ধরেই তাঁর ইন্ডাস্ট্রিতে আসা। তাই সুদীপ্তা নিজে ফেসবুক পোস্টে আত্মগ্লানির কথা জানিয়ে আফসোস করেন। তাঁর কথায়, “সন্ধেবেলা ও মেসেজ করে সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম সময় মতো উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।”
দুঃসংবাদ পাওয়া মাত্রই হাসপাতালেও ছুটে যান। সুদীপ্তার সেই পোস্ট শেয়ার করে অভিযোগকারিণীর পাশে থাকার বার্তা দেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। আর এখন গর্জে উঠেছে গোটা টলিপাড়া।
(Feed Source: news18.com)