পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: কলেজের বাইরে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই ক্লাস থেকে ২ ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার সারদামণি মহিলা মহাবিদ্য়াপীঠের অধ্যাপক ও তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। পাল্টা শ্যামল সাঁতরার অভিযোগ প্রতিবাদের নামে টাকা তুলছিলেন ওই দুই ছাত্রী। তাই ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার কলেজ চত্বরে বিক্ষোভে নামেন পড়ুয়াদের একাংশ।
কলেজের বাইরে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ক্লাস থেকে ২ ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তিন বাঁকুড়ার সারদামণি মহিলা কলেজের অধ্যাপক ও তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। ভূগোল বিভাগের ২ ছাত্রীর অভিযোগ, ২ দিন আগে তাঁরা কলেজের গেটের বাইরে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করছিলেন। কলেজের সামনে গ্রাফিতিও আঁকেন তাঁরা। অভিযোগ, এরপরই তাঁদের ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বলেন বিভাগীয় প্রধান এবং তৃণমূল নেতা শ্য়ামল সাঁতরা। কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগেরও সরব হয়েছেন তাঁরা।
সারদামণি মহিলা বিদ্যাপীঠের প্রতিবাদী ছাত্রী অপর্ণা মণ্ডল বলেন, ‘২ দিন আগে কাজটা করেছি, আজকে উনি ড. শ্য়ামল সাঁতরা মহাশয় উনি আমাদেরকে কলেজের ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরা যখন জিজ্ঞেস করি, স্যার কী অপরাধ আমাদেরকে ক্লাস থেকে কেন বের করা হচ্ছে? উনি বলছেন, তোমাদের কোনও কথা শুনব না। তোমরা বাইরে আন্দোলন করেছো। বেরিয়ে যাও ক্লাস থেকে। বলেছেন, আমার ক্লাস তোমরা আর কোনওদিন করবে না।’
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার কলেজ চত্বরে বিক্ষোভে নামেন পড়ুয়াদের একাংশ। এদিকে, শ্যামল সাঁতরার পাল্টা অভিযোগ প্রতিবাদের নামে টাকা তুলছিলেন ওই দুই ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘২ জনকে বের করে দেওয়ার প্রধান কারণ হল, যে ক্লাসের ভিতরে বিভিন্ন আন্দোলন নিয়ে পার্টি করতে হবে, বিশেষ করে SUCI পার্টি। তারা SUCI করে। কয়েকজন ছাত্রী রয়েছে। তারা পার্টি করতে হবে বলে ছাত্রীদের চাপ দিতে থাকে। এই আন্দোলন করার জন্য যে অর্থ তাদেরকে ২০ টাকা , ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০টাকা দিতে হবে। এর জন্য তারা কিছু কিছু লিফলেট বিলি করার ব্যবস্থা করেছে। অনেক ছাত্রীরা আমাকে লিখিত আকারে জানায়, তখন আজকে আমি ব্যবস্থা নিই এবং তাদেরকে ক্লাস থেকে বের করে দিই।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
DYFI-এর রাজ্য় সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায় বলেন, ‘এরা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে আরজি করের আন্দোলন করলে ক্লাস করা যাবে না।’ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শ্যামল সাঁতরা যথাযথ উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। ওঁর কাছে কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে সেই মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন। এখন নজর ঘোরানোর জন্য আরজি করের নাম নেওয়া হচ্ছে।’
এক চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ, খুনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য়, গোটা দেশ। এবার সেই প্রতিবাদে সামিল হওয়ায়, তৃণমূলের অধ্য়াপক নেতার বিরুদ্ধে, দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
(Feed Source: abplive.com)