ভাঙা হাতে প্লাস্টার নিয়ে ঘরে ফিরলেন ‘সোনার ছেলে’ নীরজ, আত্মবিশ্বাসী ফিটনেস নিয়ে

ভাঙা হাতে প্লাস্টার নিয়ে ঘরে ফিরলেন ‘সোনার ছেলে’ নীরজ, আত্মবিশ্বাসী ফিটনেস নিয়ে

প্যারিস অলিম্পিক্সে রুপো জয়ের পর ঘরে ফিরলেন নীরজ চোপড়া। শুক্রবার তাঁকে সাদরে বরণ করে নিল হরিয়ানা স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্ররা। এদিন নীরজকে ভাঙা হাতে প্লাস্টার জড়ানো অবস্থায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা যায়। প্রথমে তাঁকে গ্রহণ করে নেন ইউনিভার্সিটির আধিকারিকরা। লাইন দিয়ে দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ছাত্রদের। প্যারিস অলিম্পিক্সে রুপো জয় তাঁর পর পর দ্বিতীয় অলিম্পিক্স পদক জয় ছিল। ২০২১ টোকিও অলিম্পিক্সেও সোনা জয় করেছিলেন তিনি।

টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের পর প্যারিসেও তাঁর থেকে সোনা জয়ের প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর। কিন্তু প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিক্সে পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের কাছে পরাজিত হন তিনি। ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করে অলিম্পিক্সে রেকর্ড গড়েন নাদিম, সঙ্গে জিতে নেন সোনা। ৮৯.৪৫ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করে দ্বিতীয় স্থান দখল করেন নীরজ। দেশের জন্য জয় করেন রুপো। যদিও এরপর নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। নিজের কাছেও তাঁর সোনা জয়ের প্রত্যাশাই ছিল। কিন্ত চোট আঘাতে জর্জরিত নীরজ আটকে যান পাকিস্তানের নাদিমের কাছে।

এরপর নীরজ চোপড়া বেলজিয়ামে ডায়মন্ড লিগে অংশগ্রহণ করেন। সেখানেও ফাইনালে তিনি দ্বিতীয় স্থান দখল করেন। নীরজ ৮৭.৮৬ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করেন। যেখানে প্রথম স্থানাধিকারী অ্যান্ডারসন পিটারসন ৮৭.৮৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করেন। এই প্রতিযোগিতায়ও রুপো নিয়ে সন্তুষ্ট হতে হয় নীরজকে। পরবর্তীতে নীরজ চোপড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান ভাঙা হাত নিয়ে তিনি ডায়মন্ড লিগে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি লেখেন, ‘সোমবার আমার যখন এক্স রে করা হয় হাতের তখন একটি ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। আমি প্র্যাক্টিসের সময় আঘাত পাই। এটা আমার কাছে আরও একটা বেদনাদায়ক চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমি আমার দলের সাহায্যে ডায়মন্ড লিগে অংশ নিতে পারি। এটাই এবছর আমার শেষ প্রতিযোগিতা। আমি এবছর আমার নিজের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু আমার মনে হয় আমি এবছর অনেক কিছু শিখেছি। আমি আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসব’। এবার দেখার নীরজ চোপড়া ফের কবে চোট সারিয়ে ফিরে আসেন। শুক্রবার হরিয়ানা স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানে তাঁর হাতের আঘাত যে বেশ গুরুতর তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। কবে তাঁর প্লাস্টার কবে খোলা হবে এবং কবে ফের তিনি জ্যাভলিন থ্রো করতে পারেন সেটাই এখন দেখার।

(Feed Source: hindustantimes.com)