দিল্লি: ইসরাইল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, আমেরিকা কি সমর্থন করবে? সম্প্রতি জিজ্ঞাসা করা এই প্রশ্নের ‘না’ উত্তর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (ট্রাম্প সাপোর্ট ইসরাইল) বেশ আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন। শনিবার এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন ইসরায়েলের উচিত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা। এ নিয়ে তিনি বিডেনেরও কটাক্ষ করেছেন।
ইরানে হামলা নিয়ে ট্রাম্পের বড় বক্তব্য
নর্থ ক্যারোলিনায় এক সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন। ট্রাম্প বিডেনকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেছিলেন যে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি ইরান সম্পর্কে কী ভাবছেন। আপনি কি ইরান আক্রমণ করবেন? এবং তার উত্তর ছিল যতক্ষণ না তারা পারমাণবিক হামলার লক্ষ্যবস্তু না করবে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে বাইডেন
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি যদি ইসরাইল ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে তাহলে তিনি সমর্থন করবেন কিনা। বিডেন এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন – আমার উত্তর না।
জো বিডেনের উত্তরে ট্রাম্পের প্রশ্ন
ট্রাম্প বলেছিলেন যে বিডেনকে যখন এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল, তখন তার উত্তর হওয়া উচিত ছিল প্রথমে পারমাণবিক সাইটগুলিকে লক্ষ্য করা এবং বাকিগুলি নিয়ে পরে চিন্তা করা। কারণ এটাই সবচেয়ে বড় বিপদ। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনার কি এটা করা উচিত নয়? মানে, এটাই সবচেয়ে বড় হুমকি, পারমাণবিক অস্ত্র।’
ইরান নিয়ে ট্রাম্পের এই নীতি!
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ প্রকাশ্যে জ্বলছে। যদিও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি, তবুও উত্তেজনা কম নয় এবং উভয়েই একে অপরের দিকে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া থেকে পিছপা হচ্ছে না। গোটা বিশ্ব জানে এই সব কিছুতে আমেরিকা ইসরায়েলকে সমর্থন করছে। আমেরিকা বারবার বলেছে যে তারা ইসরাইলের সাথে আছে। কিন্তু তারপরও বাইডেন ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে টার্গেট করার পক্ষে মোটেও নন। কিন্তু ট্রাম্পের নীতি বলছে অন্য কথা। শিগগিরই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তার নীতি কি একই থাকবে নাকি পরিবর্তন হবে এটাই বড় প্রশ্ন।
(Feed Source: ndtv.com)