জিমন্যাস্টিক থেকে অবসর নিলেন দীপা কর্মকার। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে নিজেই পোস্ট করে সেই কথা জানালেন তিনি। পোস্টে দীপা লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি। প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন দীপা। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল পদক। ৩১ বছরের দীপাই ছিলেন দেশের হয়ে প্রথম অলিম্পিক্স জিমন্যাস্ট। রিও অলিম্পিক্সে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। তাঁর প্রোদুনোভা ভল্ট সে সময় নজর কেড়েছিল। তবে তিনি এবছর প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি।
দীপা এদিন তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘অনেক ভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, যে জিমন্যাস্ট থেকে অবসর নেব। এটা আমার জন্য মোটেও সহজ কাজ ছিল না। তবে এটাই সঠিক সময়। জিমন্যাস্ট আমার জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল। কখনও সফল হয়েছি, আবার কখনও ব্যর্থও হয়েছি। প্রত্যেকটা মুহূর্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ’। অবসরের মুহূর্তে দীপা তাঁর ছেলেবেলার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমার সেই ৫ বছরের দীপার কথা মনে পড়ছে, যাকে বলা হয়েছিল পায়ের পাতা সমান হওয়ার জন্য তুমি কোনও দিন জিমন্যাস্ট হতে পারবে না। আজ আমার সাফল্যকে নিয়ে গর্ব অনুভব হয়। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং মেডেল জয় করতে পারাটা এবং বিশেষ করে ২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে প্রোদুনোভা ভল্ট মারতে পারা আমার জিমন্যাস্ট জীবনের সবচেয়ে স্বরণীয় ঘটনা। আজ আমার সেই দীপাকে দেখে খুব আনন্দ হয়, কারণ সে স্বপ্ন দেখার সাহস রেখেছিল’।
এই বাঙালি জিমন্যাস্ট জানান এশিয়ান জিমন্যাস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জয় তাঁর কাছে একটা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত ছিল। খেলাকে শেষ বিদায় জানানোর আগে নিজের কোচকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না দীপা। তিনি লেখেন, ‘আমি আমার কোচ বিশ্বেস্বর নন্দী এবং সোমা ম্যামকে ধন্যবাদ জানাব, যারা আমার পিছনে ২৫ বছর ধরে শক্তি হিসেবে থেকেছেন’। দীপা শেষে বলেন এবার এই খেলার জন্য কিছু করতে চান। তিনি লিখেছেন, ‘আমি হয়তো জিমন্যাস্টকে বিদায় জানাচ্ছি ঠিকই, তবে খেলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হবে না। আমি চাই এই গেমকে কিছু ফিরিয়ে দিতে। হয়তো কোচ বা মেন্টর হিসেবে আমার মতো আরও মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে পারব’।
(Feed Source: hindustantimes.com)