‘ভবিষ্যতে আর সরকারি চাকরিও পাওয়া যাবে না’, চিকিৎসকদের ‘গণ ইস্তফা’ নিয়ে কড়া বার্তা নবান্নর?

‘ভবিষ্যতে আর সরকারি চাকরিও পাওয়া যাবে না’, চিকিৎসকদের ‘গণ ইস্তফা’ নিয়ে কড়া বার্তা নবান্নর?

কলকাতা: রাজ্য সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়িয়ে এবার গণইস্তফার পথে হাঁটতে শুরু করলেন সিনিয়র ডাক্তাররা। আজ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে গণইস্তফা দিলেন প্রায় ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেডিক্য়াল কলেজ এবং SSKM-এর চিকিৎসকরাও। যদিও নবান্নের এক শীর্ষকর্তার দাবি গণইস্তফা দিলে পদত্যাগ করা হয় না। আলাদা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় ইস্তফা দিতে হয়।

গণইস্তফা প্রসঙ্গে নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, ‘গণইস্তফা দিলে পদত্যাগ করা হয় না। আলাদা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় ইস্তফা দিতে হয়।  ইস্তফা যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার গ্রহণ করছে ততক্ষণ তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যদি ইস্তফা গৃহীত হয়, তাহলে তাঁরা সরকারি সুযোগসুবিধা পাবেন না এবং ভবিষ্যতে আর সরকারি চাকরিও পাবেন না।’

গণ ইস্তফার পাশাপাশি এদিন জুনিয়রদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে প্রতীকী অনশনে বসেন সিনিয়ররা ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের কথায়, প্রত্যেকদিন ১২ ঘণ্টা করে অনশনে বসব। নাইট করে পরের দিন ছুটি পাই। গণ ইস্তফার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে চিঠি চিকিৎসক-অধ্যাপকদের। যদিও নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, ‘চিকিৎসকদের গণইস্তফা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। চিকিৎসকদের গণইস্তফার কোনও চিঠিও আসেনি’।

মঙ্গলবার দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন সেই অনশন ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। রাজ্য সরকার এখনও সাড়া না দেওয়ায়, এবার অনশনরত জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে ENT বিভাগ, আর জি কর মেডিক্যালের  চিকিৎসক-অধ্যাপক দেবব্রত দাস বলেন, ‘গণইস্তফা দেওয়া মানে আমরা যে কাজ কাল থেকেই বন্ধ করে দিলাম তা নয়। কাজ আমরা করব। এই অচলাবস্থায় আমরা এরকমভাবে হাসপাতাল খালি রেখে যাব না। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের এই গণইস্তফা দেওয়ার অর্থ হল প্রশাসনের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে আপনারা অন্তত এসে যাঁরা আন্দোলন করছে, যাঁরা অনশনরত তাঁদের সঙ্গে একটু আলাপ আলোচনায় বসুন।’

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারকে কার্যত ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দিয়ে গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ এবং SSKM-এর চিকিৎসকরাও।

(Feed Source: abplive.com)