ব্যাঙ্ক কিংবা নন-ব্যাঙ্কিং কোম্পানি, প্রত্যেকেই বিপুল পরিমাণে সোনার ঋণ বা গোল্ড লোন দিচ্ছে। গ্রাহকদের মধ্যেও এই লোন নেওয়ার প্রবণতা নজর কেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘উদারতা’ নিয়ে বেশ উদ্বিঘ্ন। খারাপ ঋণের সমস্যা এড়াতে ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ হিসাব সংক্রান্ত ত্রুটিগুলো দূর করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র চলতি অর্থবর্ষেরই প্রথম ত্রৈমাসিকে, সোনার ঋণ অনুমোদন গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই হিসাবে এই মুহূর্তে অনুমোদিত ঋণের পরিমাণ মোট ৭৯,২১৮ কোটি টাকা।
সোনার ঋণের এই বৃদ্ধি কিন্তু একবারেই হয়ে যায়নি। বরং অনেক দিক থেকে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে, প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশ। সেক্টরে ব্যাঙ্কগুলোর কঠোর প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও এই প্রবৃদ্ধি নজর কেড়েছে। এরপর ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে, ব্যাঙ্ক লোনের উপর আরবিআই জোনাল ডেটা অনুসারে, সোনার ঋণ বছরের ভিত্তিতে প্রায় ৪১ শতাংশ বেড়ে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাধারণত মানুষ তখনই স্বর্ণ লোনের আশ্রয় নেন, যখন লোন নেওয়ার অন্যান্য উপায় বন্ধ থাকে, আর আরবিআই দেখেছে যে ব্যাঙ্কগুলো তাদের অ্যাকাউন্ট পরিষ্কার রাখতে অনেক অনিয়ম করেছে। খারাপ ঋণ লুকিয়ে রেখেছে এবং যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই টপ-আপ ও রোল-ওভারের মাধ্যমে ঋণে কারসাজিও করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আরবিআই, ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলিকে তাদের সোনার ঋণ নীতি এবং যাবতীয় প্রক্রিয়া ভালো করে রিভিউ করার এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে কোনও ঘাটতি থাকলে, তা পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
নতুন এবং সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির জন্য লোন নেওয়ার প্রবণতা
স্বর্ণ ঋণ মূলত নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানির তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন গত বছরে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন ও ব্যবহৃত গাড়ির ঋণও অনেক বেড়েছে। ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহ ঋণ, সম্পত্তি ঋণ এবং অসুরক্ষিত ব্যবসা ঋণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)