ভারতীয় স্টুডেন্টরাও নিজের স্টুডেন্ট আইডি দেখিয়ে পেতে পারে জাপানের ভিসা। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশী এফ সুজুকি তিনি ইউটিউব এক সাক্ষাৎকারে জানান, জাপানের ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে প্রথমেই স্টুডেন্ট আইডি তৈরি করতে হবে। এমনকি তিনি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও জানান।
ওই সাক্ষাৎকার থেকে আরো জানা গিয়েছে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলি থেকে স্নাতক হওয়ার ঠিক তিন বছরের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ভিসার জন্য স্নাতক হওয়ার শংসাপত্র জমা দিতে পারবে। অথবা শিক্ষার্থীরা স্বল্পমেয়াদী থাকার জন্যও নিজেদের স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। মূলত ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং আদান-প্রদানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
জাপানের রাষ্ট্রদূত সুজুকি তরুণ ভারতীয়দের জাপানে যেতে উৎসাহিত করছেন, যাতে শিক্ষার্থীরা ভালো প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। তিনি জানান, যদি আরও অনেক ভারতীয় জাপানে পড়াশোনা ও কাজের জন্য আসে তাহলে ভারত ও জাপানের মধ্যে ভালো সু-সম্পর্ক তৈরি হবে।
এমনকি তিনি ওই সাক্ষাতকারে ভারতের খাবার সম্পর্কেও বলেছেন। তিনি ভারতীয় খাবারকে কালচারাল শক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় খাবার খুবই সুস্বাদু, যা তিনি খেতে চান, তবে খাবারগুলি খুবই মশলাদার হয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় জনগণের মধ্যে আতিথেয়তা প্রদান করার ভঙ্গিও অনেক আলাদা। ভারতীয়রা তাদের পরিবারের সদস্যদের মতো যত্ন নিয়ে স্বাগত জানান। এমনকি তিনি সাক্ষাৎকারে ভারতের বৈচিত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি ভারতকে নিজের দেশের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, জাপানে আমাদের উপভাষা আছে ঠিকই কিন্তু আমাদের লেখা একই। সেক্ষেত্রে ভারতে অনেক ভিন্ন ভিন্ন লেখা আছে। ভারতের প্রতিটি রাজ্য এক একটি দেশের মতো।
এমনকি ভারতের রাজস্থানের রনথম্বোর ন্যাশনাল পার্ক-কে তিনি তাঁর প্রিয় জায়গা হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। কারণে তিনি বলেছেন, সেখানে তিনি বন্য বাঘ দেখতে পান। এইসব মন্তব্য করে তিনি ভারতের প্রতি থাকা ভালবাসার অভিব্যক্তি করেছেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশী এফ সুজুকি সম্প্রতি একটি ইউটিউব সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা তাদের স্টুডেন্ট আইডি দেখিয়ে সহজেই জাপানের ভিসা পেতে পারবেন।
ভিসা প্রক্রিয়া:
- স্টুডেন্ট আইডি তৈরি: প্রথমে, আবেদনকারীদের জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির প্রস্তাবপত্র (admission letter) এবং স্টুডেন্ট আইডি সংগ্রহ করতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদন: এরপর, জাপানের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনের সময়, আবেদনকারীদের পাসপোর্ট, স্টুডেন্ট আইডি, ভর্তির প্রস্তাবপত্র, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ভিসা পাওয়ার সুবিধা:
- সহজ প্রক্রিয়া: স্টুডেন্ট আইডি থাকার ফলে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়।
- দ্রুত অনুমোদন: স্টুডেন্ট আইডি থাকলে ভিসা দ্রুত অনুমোদন করা হয়।
- দীর্ঘমেয়াদী ভিসা: শিক্ষার্থীরা ৫ বছরের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পেতে পারবেন।
ভিসার প্রয়োজনীয়তা:
- বয়স: আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীকে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
- জাপানি ভাষা: আবেদনকারীদের জাপানি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আর্থিক সামর্থ্য: আবেদনকারীদের জাপানে থাকার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে।
(Feed Source: hindustantimes.com)