জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাপে পড়তে চলেছে দেশের মাদ্রাসাগুলি! এমনই এক আশঙ্কা তৈরি হল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একগুচ্ছ সুপারিশে। মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের সরিয়ে রাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের সুপারিশে। এনিয়ে রাজ্যগুলিকে ওই সুপারিশের নথিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করুক রাজ্য সরকারগুলি।
শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী দেশের ৬-১৪ বছরের সব শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে ২০১২ সালে কেন্দ্র সরকার ওই আইনে একটি সংশোধনী আনে। সেখানে ওই আইনের আওতা থেকে সংখ্য়ালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাইরে রাখা হয়। এরপর গত ৯ বছর ধরে এনিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। দেখা হয়েছে শিক্ষার অধিকার আইনের বাইরে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে রেখে কোনও সুফল মিলছে কিনা। এনিয়ে পড়ুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন।
#WATCH | NCPCR chief Priyank Kanoongo says, ” Commission has released its final report after studying this issue for 9 years. We have found that around 1.25 crore children are deprived of their basic education rights. They are being tutored in such a way that they would work… https://t.co/XZdgB4jOFf pic.twitter.com/eqMgzeQYoI
— ANI (@ANI) October 12, 2024
২০২১ সালে মাইরোরিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে কমিশন। সেখানে দেখা গিয়েছে যেসব শিশুরা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তারা মূলস্রোতের বুনিয়াদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাদের পঠনপাঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই, উপযুক্ত শিক্ষক নেই।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের ওই রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, দেশের ১.২৫ কোটি শিশু মূল ধারার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাদের এমনভাবে পড়ানো হচ্ছে যে তারা যেন কিছু লোকের ঠিক করে দেওয়া রাস্তা অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে। দেশের ৭-৮ রাজ্যে মাদ্রাস বোর্ড রয়েছে। ওইসব বোর্ড বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। ওইসব বোর্ডের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত এবং বোর্ডগুলি ভেঙে দেওয়া উচিত। যেসব হিন্দু পড়ুয়া ওইসব মাদ্রাসায় পড়ে তাদের মূল ধারার স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া উচিত।
(Feed Source: zeenews.com)