SSKM হাসপাতালে দুষ্কৃতী-তাণ্ডব! হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে হামলা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

SSKM হাসপাতালে দুষ্কৃতী-তাণ্ডব!  হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে হামলা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ফের SSKM হাসপাতালে দুষ্কৃতী-তাণ্ডব। ট্রমা কেয়ারের সামনে হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল রোগীর আত্মীয়র। ফের প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা।

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে হামলা বলে অনুমান। আর জি কর কাণ্ডের পরেও অরক্ষিত হাসপাতাল?

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ সকাল ৮টার কিছু সময় পরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে কিছু দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে হাতে হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে ঢুকে পড়ে। এরপরই মারপিট শুর করে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের বাইরে দুই দল দুষ্কৃতীদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়। সেই গন্ডগোলের পর একটি দল হাসপাতালে আসে চিকিৎসা করাতে। এরপর আরেকটি দল এসে ওই দলের লোকেদের মারধর করতে শুরু করে। জানা গিয়েছে প্রায় ১২-১৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হাসপাতালে ঢুকে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে একাধিক রোগীর পরিবার। তাদের কথায়, ‘হাসপাতালে আমাদের সুরক্ষা কোথায়? চোখের সামনে দেখলাম দুষ্কৃতীরা পাইপ, হকি স্টিক নিয়ে ঢুকে মারধর করা শুরু করল। পুলিশ তখন কোথাও ছিল না। বেশ কিছুটা পরে এসেছে। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা ঘটনা ঘটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও সুরক্ষা নেই।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এক রোগী বাঁকুড়া থেকে আসে। আজই ওই রোগীর ডিসচার্জ হওয়ার কথা ছিল। সেই রোগীর পরিজনকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আর জি কর-এ চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের পর থেকেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি তুলে আন্দোলন-অনশনে বসেছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণেও হাসপাতালে নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেছিলেন, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে টাস্ক ফোর্সের পাশাপাশি সিসিটিভি বসানোর কাজও প্রায় শেষ। তাই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে কলকাতার এসএসকেএম- হাসপাতালে এমন হামলার ঘটনা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে!

(Feed Source: abplive.com)