দেশে চিনির মূল্যবৃদ্ধি, দাম কমাতে বড় পরিকল্পনা মোদী সরকারের

দেশে চিনির মূল্যবৃদ্ধি, দাম কমাতে বড় পরিকল্পনা মোদী সরকারের

চিনি উৎপাদনে ভারতের স্থান

বিশ্বে চিনি উৎপাদনে ভারতের স্থান প্রথম। আর ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হল ভারত। মার্চের সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, দেশে দামের ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে চিনির রপ্তানি নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদী সরকার। সেব্যাপারে পরিকল্পনার কথাও প্রকাশিত হয়েছিল সেই সময়।

বিশ্বে চিনির মূল্যবৃদ্ধি

বিশ্বে চিনির মূল্যবৃদ্ধি

বিশ্বজুড়েই চিনির মূল্যবৃদ্ধি। যার মূল কারণ গিসেবে উঠে আসছে, প্রধান রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিলে চিনির কম উৎপাদন হওয়া এবং সেখানকার চিনির মিলগুলি আখ-ভিত্তিক ইথানল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে বিশ্বজুড়েই চিনির মূল্যবৃদ্ধি বলে জানা গিয়েছে।

১ কোটি টন চিনি রপ্তানির অনুমতি

১ কোটি টন চিনি রপ্তানির অনুমতি

প্রাথমিকভাবে ভারতের তরফে ৮০ লক্ষ টন চিনি রপ্তানির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে মিলগুলিকে বিশ্বের বাজারে আরও চিনি বিক্রির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন প্রথমে জানিয়েছিল এবার ৩.১ কোটি টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। পরে তারা তা সংশোধন করে জানায় ৩.৫৫ কোটি টন চিনি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের চিনির কলগুলি সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে ৮৫ লক্ষ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছিল। সরকারের তরফে রপ্তানির পরিমাণ ১ কোটি টন ধার্য করায় খুশি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, বিদেশের বাজারে আরও বেশি পরিমাণ চিনি বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুম্বই ভিত্তিক বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংস্থার এক ডিলার বলেথেন ১ কোটি টনের সীমায় মিল ও সরকার উভয়েই খুশি।

রপ্তানির পরেও উৎসবের মরসুমে চাহিদা মিটবে

রপ্তানির পরেও উৎসবের মরসুমে চাহিদা মিটবে

হিসেব অনুযায়ী এই ১ কোটি টন চিনি রপ্তানি করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ১ অক্টোবর থেকে চিনির ২০২২-২৩-এর মরসুম শুরু হচ্ছে। সেই সময় যে ৬০ লক্ষ টন চিনি পাওয়া যাবে ,তা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের উৎসবের মরসুমে চিনির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলেই মনে করছেন দেশের চিনির ডিলাররা।