মুম্বই: ম্যাচ গড়াপেটায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। এর পর ২০০০ সালে অবসর নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। তার পর প্রায় বিস্মৃতির আড়ালে চলে যান তিনি। সেই অজয় জাদেজা দুম করে সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিকে টপকে বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেটার হয়েছেন! কিন্তু কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি?
নয়ের দশকে ভারতীয় ক্রিকেট মাতানো অলরাউন্ডার এখন মোট সম্পত্তির পরিমাণে বিরাটকে ছাপিয়ে গেলেন। রাজকীয় পরিবর্তন ঘটে গেল তাঁর জীবনে। কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ‘এ প্লাস’ ক্যাটেগরির ক্রিকেটার। তাঁর বার্ষিক বেতন ৭ কোটি টাকা।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে আইপিএল খেলেন তিনি। চুক্তি ১৫ কোটি টাকার। ব্ল্যু ট্রাইব, ইউনিভার্সাল স্পোর্টসবিজ, এমপিএল ও স্পোর্টস কনভোর মতো সাতটি স্টার্ট-আপ ব্র্যান্ডকে এনডোর্স করেন বিরাট কোহলি। মোট ১৮টি ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত কোহলি। কোহলির মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ১০০০ কোটি টাকারও বেশি!
এদিকে, বিজয়া দশমীর দিনেই নওয়ানগরের (এখন জামনগর) নতুন জাম সাহেব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর নাম। নওয়ানগরের প্রাক্তন জাম সাহেব শত্রুস্যাল্যসিংহজি দিগ্বিজয়সিংহজি তাঁর জেঠু। জাদেজার নাম তাই উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
শত্রুস্যাল্যসিংহজি দিগ্বিজয়সিংহজি জাদেজা তাঁর ভাইপোকে জামনগরের নতুন উত্তরাধিকারী হিসাবে ঘোষণা করেছেন। জাদেজার মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়াল ১৪৫০ কোটি টাকা!
জামনগরের নওয়ানগর আলাদা রাজ্য ছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে। জামনগরের রাজপরিবারের সঙ্গেও ক্রিকেটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অজয় জাদেজার ঠাকুরদা দিগ্বিজয়সিংহজি জাদেজাও ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর অন্যতম সভাপতি ছিলেন। দিগ্বিজয়সিংহজি জাদেজা ১৯৩৩ সালে জাম সাহেবের উপাধি পান। সৌরাষ্ট্রের হয়ে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
(Feed Source: news18.com)