অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে পুরী ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের মধ্যে। সময়ের আগেই হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ২৩ থেকে ২৫ তারিখ ১৪টি জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে। পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাঁদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১৯-এর ফণী স্মৃতি উস্কে দিয়ে এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। মেঘলা আকাশের সঙ্গে প্রবল বেলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সময় যত এগোচ্ছে ততই উত্তাল হচ্ছে পুরীর সমুদ্র। আতঙ্ক বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যেও। ইতিমধ্যে হোটেল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে পর্যটকদের মধ্যে।
সৈকত খালি করতে লাগাতার মাইকে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে লাইফগার্ডের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে পুরীর সৈকতে।
সবে মাত্র দুর্গাপুজো কেটেছে। সামনেই কালীপুজো। তার আগে শ্রীক্ষেত্রে এখন ভরা পর্যটক মরসুম। অন্যান্য বছর এই সময় ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে ঘর পেতে ঘাম ছুটে যায় পর্যটকদের। এবারও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার আশঙ্কায় নিমেষে বদলে গেছে পরিস্থিতি।
পুরী, বালেশ্বর, চাঁদিপুরে গঞ্জাম, জাজপুর, খুড়দা-সহ ওড়িশার একাধিক এলাকায় ঘুর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর ১৪টি জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে।
পর্যটকদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করতে হোটেলগুলিকে অ্যাডাইসরি জারি করেছে ওড়িশা প্রশাসন। পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাঁদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরী ও ভুবনেশ্বরের একাধিক জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বহিনীর একাধিক টিম। উদ্ধার কাজে প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি হেলিকপ্টার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওড়িশা সফর স্থগিত করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
(Feed Source: abplive.com)