বাংলাদেশকে দুরমুশ করে WTC ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা, উদ্বেগ বাড়ল ভারতের?

বাংলাদেশকে দুরমুশ করে WTC ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা, উদ্বেগ বাড়ল ভারতের?

 

ঢাকা: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC 2025 Final) পৌঁছতে হলে ছয়টি ম্যাচের মধ্যে অন্তত পাঁচটিতে জিততেই। এমন পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল (BAN vs SA 1st Test)। নিজেদের প্রথম পরীক্ষায় প্রোটিয়া দল যে দারুণভাবে উত্তীর্ণ হল, তা বলাই বাহুল্য়। শের-এ-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে সহজেই পরাজিত করলেন এডেন মারক্রামরা।

প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয়নি। প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মুলডার, মহারাজ ও রাবাডা তিনটি করে উইকেট নেন। জবাবে বাংলাদেশি স্পিনাররাও প্রোটিয়াদের বেগ দেন। তবে কিপার-ব্যাটার কাইল ভিরেইনার দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৮ রান তোলে প্রোটিয়ারা।

বাংলাদেশের টপ অর্ডার দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়। প্রথম ইনিংসে জয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩০ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ৪০। তাছাড়া কোনও টপ অর্ডার ব্যাটারই তেমন রান পাননি। কিন্তু লড়াইটা আসে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে ভর করে। জাকের আলি ও মিরাজ এক সময়ে ১১২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ইনিংসকে ২৫০ রানের গণ্ডি পার করান। জাকের ৫৮ রানে ফেরেন। তবে অনবদ্য ব্যাট করলেও মেহেদিকে সেঞ্চুরির ঠিক আগেই ৯৭ রানে থামতে হয়। রাবাডার ছয় উইকেটে ৩০৭ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১০৬ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। অল্প রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়াদের খুব বেশি চাপ হওয়ার কথা ছিল না। হলও না। টনি ডি জর্জ়ি ৪১ রানের ইনিংসে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। ট্রিস্টান স্টাবসও ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এই জয়ের সুবাদে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় চারে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁদের পয়েন্টের শতকরা হল ৪৭.৬২। নিজেদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাকি পাঁচ ম্যাচ জিততে পারলে রাবাডাদের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত। কিন্তু চারটি জয়ও তাদের খেতাবি ম্যাচে পৌঁছে দিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে অন্য়ের ভরসায় থাকতে হবে তাঁদের। আপাতত ভারতীয় দলের যা অবস্থা, তাতে কিন্তু প্রোটিয়াদের জয় বা পরাজয়ে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকদের এখনও খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।

(Feed Source: abplive.com)