জানা গিয়েছে, বারাণসী-ছাপড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনে উঠেছিলেন তরুণী। ছাপড়া পৌঁছনোর আগেই ধরা পড়ে যান।
বালিয়া, উত্তর প্রদেশ: ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে চুপচাপ বসেছিলেন তরুণী। কারও সঙ্গেই বিশেষ কথাটথা বলছিলেন না। আচমকাই তল্লাশি শুরু করে রেল পুলিশ। খোলা হয় ট্রলি ব্যাগ। ব্যস, বেরিয়ে পড়ে শয়ে শয়ে কার্তুজ। যেন যুদ্ধে যাচ্ছেন তরুণী। হতবাক জিআরপি-ও। জানা গিয়েছে, বারাণসী-ছাপড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনে উঠেছিলেন তরুণী। ছাপড়া পৌঁছনোর আগেই ধরা পড়ে যান।
জিআরপি-এর তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত তরুণী মির্জাপুরের নদীহার গ্রামের বাসিন্দা। বারাণসীতে পড়াশোনা করেন। সেখানেই অস্ত্র পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তারপর টাকার জন্য অস্ত্রের চোরাচালানের কাজ শুরু করেন তিনিও। জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী জানিয়েছেন, অঙ্কিত পাণ্ডে ও রোশন যাদব নামে দুই অস্ত্র পাচারকারী তাঁকে এই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ ছাপড়ায় পৌঁছে দিতে বলেছিল। দু’জনেই গাজিপুরের বাসিন্দা। আপাতত তরুণীর সঙ্গে যুক্ত চোরাচালানের পুরো নেটওয়ার্কের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি এবং পুলিশ।
বালিয়া থানার জিআরপি ইনচার্জ সুভাষ চন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, বারাণসী থেকে ছাপড়াগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে (০৫৪৪৬ নম্বর) উঠেছিলেন তরুণী। তাঁর সঙ্গে ছিল বড় ট্রলি ব্যাগ। তরুণীর নাম মনিতা সিংহ। বয়স ২০ বছর। মনিতা সিটের নীচে ট্রলি ব্যাগ ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। আগে থেকেই কার্তুজ চোরাচালানের খবর ছিল জিআরপি-এর কাছে। তল্লাশি চলছিল। বড় ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয়। শুরু হয় তল্লাশি। ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হয় কার্তুজ।
জিআরপি জানিয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে ৭৫০টি বেআইনি কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণীকে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তরুণীর সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চোরাচালানের পুরো গ্যাংয়ের হদিশ পেতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিও সাবিরাল গৌতম জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ এক তরুণীকে গ্রেফতার করে বালিয়া জিআরপি। ধৃতের কাছ থেকে ৩১৫ বোরের ৭৫০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী জানিয়েছেন, অঙ্কিত পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তি তাঁকে এই কার্তুজ দিয়েছিল। বারাণসী থেকে ছাপড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
প্রসঙ্গত, বালিয়া রেল স্টেশন থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এত বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার হল। এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বালিয়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ৮২৫টি বেআইনি কার্তুজ এবং দেশি বন্দুক উদ্ধার করেছিল জিআরপি। এই ঘটনার পর রাজ্যে অস্ত্র চোরাচালানের রমরমা কারবার চলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।