১৫ বছরের আইনি লড়াই, মার্কিন দম্পতির কাছে পরাজিত গুগল, জরিমানা ২১,০০০ কোটি

১৫ বছরের আইনি লড়াই, মার্কিন দম্পতির কাছে পরাজিত গুগল, জরিমানা ২১,০০০ কোটি

বিরাট ধাক্কা খেল গুগল।  রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে গুগলকে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। আসলে এটা হল এক মার্কিন দম্পতির দায়ের করা মামলা। দীর্ঘ ১৫ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর জয় পেয়েছেন তাঁরা। আর তার জেরেই এবার গুগলকে প্রায় ২৬,১৭২ কোটির জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর। অন্যত্র ২১ হাজার কোটি বলে উল্লেখ করা রয়েছে। গুগলের সার্চ অ্যালগরিদম অনৈতিকভাবে তাদের প্রাইস কম্পারিসন ওয়েবসাইট ফাউন্ডেমকে দাবিয়ে রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসে আবেদন করেছিলেন ওই দম্পতি। বিবিসি রিপোর্ট অনুসারে খবর। দীর্ঘ দিন ধরে এই লড়াই চলে। তারপর এনিয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে খবর।

মার্কিন দম্পতি শিবাউন আর অ্যাডাম রাফ। রাফ ২০০৬ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ফাউন্ডেম বলে অপর একটি সংস্থা তৈরি করেন। সেখানে মূলত জিনিসপত্রের তুলনামূলক দাম যাচাই করা যেত। এদিকে দম্পতির দাবি গুগল আচমকাই তাঁদের সার্চ রেজাল্টের দিক থেকে ক্রমেই নীচের দিকে নামাতে শুরু করে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ যখন তাঁদের কোম্পানিকে সার্চ করবেন তাঁরা সহজে তা পাবেন না।

অ্যাডাম রাফ জানিয়েছেন, আমরা আমাদের পেজগুলিকে দেখতাম। সেগুলি কতটা Rank করত সেদিকে খেয়াল রাখতাম আমরা। কিন্তু সেটা ক্রমেই নীচের দিকে নামছিল। আমরা প্রথম দিকে ভাবছিলাম হয়তো স্প্যামের কারণে এটা হচ্ছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। কিন্তু কোথাও যেন একটা অন্যরকম কিছু হচ্ছে।…

অ্যাডাম বলেন, যদি আপনারা ট্র্যাফিককে অস্বীকার করতে পারেন না। তাহলে গোটা ব্যবসাটাই নষ্ট হয়ে যাবে…

এরপর দম্পতি গুগলকে একের পর এক অনুরোধ করতে শুরু করে। মূলত তাদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা তৈরি করেছিল সেটা তোলার জন্য তারা বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোথাও কোও কাজ হয়নি বলে তাঁদের দাবি। এরপর ২০০৮ সাল। ওই দম্পতি বুঝতে পারেন কোথাও কোনও অন্য়ায় হচ্ছে। তাঁদেরকে বলা হয়েছিল যে তাঁদের ওয়েবসাইটের গতি ক্রমেই ধীরে হয়ে যাচ্ছে। এরপর তাঁরা ভাবেন যে হয়তো কোনও সাইবার অ্যাটাক হয়েছে। …

গুগলি কী জানিয়েছিল?

গুগলের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সিজেইইউর যে রায় সেটা কেবলমাত্র ২০০৮-২০১৭ সাল পর্যন্ত  আমরা বিভিন্ন প্রোডাক্টের রেজাল্টটা কীভাবে দেখিয়েছিলাম। আমরা ২০১৭ সালে ইউরোপিয়ান কমিশনস শপিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরিবর্তন করি। সেটা সাত বছরের বেশি সময় ধরে হচ্ছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)