ঢাকা : গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এক্সিকিউটিভ নির্দেশে পরের দিনই অর্থাৎ, ৬ অগাস্ট তিনি মুক্তি পান। ২০১৮ সাল থেকে জেলবন্দি ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। কিন্তু, শরীর ভাল নেই তাঁর। এবার তাঁর শারীরিক বিষয় নিয়ে বড় তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, চিকিৎসার জন্য BNP চেয়ারপার্সন খালেদাকে বিদেশ নিয়ে যাওয়া হবে। প্রথমে তাঁকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।
BNP ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকে জানানো হয়েছে। লন্ডনের একাধিক হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন খালেদার চিকিৎসকরা। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আজম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’-কে বলেছেন, “শীত চরম আকার ধারণ করার আগেই আমরা বেগম জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যেতে চাই। এজন্য একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন। সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়ারই চেষ্টা করা হচ্ছে।”
বেশ কিছুটা সময় ধরে জেলে ছিলেন BNP চেয়ারপার্সন। আওয়ামি লিগের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁকে দু’টি দুর্নীতি মামলায় জেলে পাঠানো হয়। একটি এক্সিকিউটিভ আদেশের মাধ্যমে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্তাধীন মুক্তি দেয় আওয়ামি লিগ সরকার। তখন থেকেই, পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে সরকার তাঁর মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছিল।
একাধিক অসুস্থতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। একাধিক বার তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। এর আগে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি আওয়ামি লিগ সরকার। পরে বাড়ি ও বিদেশ থেকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর অপারেশন হয়। আজম জাহিদ হোসেন প্রথম আলো-কে জানিয়েছেন, নিয়ম মতো খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বিদেশ মন্ত্রকে জানানো হয়েছে।
১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশে দফায় দফায় ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ এবং খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যশনাল পার্টি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কখনওই অত্য়ন্ত ভাল ছিল না। উল্টোদিকে বাবা মুজিবর রহমানের মতোই শেখ হাসিনাও বরাবরই ভারতবন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন। Bangladesh News
(Feed Source: abplive.com)