জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাত পোহালেই পালন করা হবে কালীপুজো। প্রতি কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে দেবীলক্ষীর যেমন পুজো করা হয়, ঠিক তেমনই শ্যামারাও আরাধনা করা হয়ে থাকে। শাক্ত বাঙালিরা কালী ভক্ত। পুরান মতে, দেবী কালীর ভয়ঙ্কর রূপকেই আরাধনা করা হয়। অশুভ শক্তিকে বিনাস করতেই তিনি নিজেই সর্বচ্চো শক্তির প্রকাশ করেছিলেন।
কালীপুজোর ঠিক একদিন আগে পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী। এবং এইদিন খাওয়া হয় ১৪ রকমের শাক এবং চোদ্দ পুরুষের উদেশ্যে জ্বালানো হয় ১৪টি প্রদীপ। যেমন এই ১৪টি প্রদীপ জ্বালানোর পেছনে রয়েছে পৌরাণিক বা ধর্মীয় গুরুত্ব। তেমনই ১৪ শাকের মধ্যেও লুকিয়ে বহু গুণ। অনেকের মতে, প্রকৃতপক্ষে, নিয়মরীতির আড়ালে পুষ্টিগুণের অভ্যাসই আমাদের মধ্যে সঞ্চারিত করে দিয়েছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। এই ১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে কী কী? সর্ষে, পালং, লাল নটে, গিমা, পুঁই, কলমি, পাট, মুলো, বেতো, হেলেঞ্চে, নটে, শুষনি এবং মেথি। এই সময় আস্তে আস্তে শীত পড়ে। ওয়েদারের পরিবর্তনের কারণে দেখা দেয় সর্দি কাশি-সহ নানা ধরণের রোগের। এই সব রোগ মোকাবিলার জন্যই শাস্ত্রকাররা এদিন ১৪ শাক খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। প্রতিটি শাকেই লুকিয়ে পুষ্টির ভাণ্ডার।
হেলেঞ্চে শাক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তাল্পতা রোধেও এই শাক অতন্ত্য কার্যকরী। বেতো শাক যেকোনো রকমের ব্যথার উপশমে খুব কার্যকরী। ডায়াবেটিস অর্থাৎ, ব্লাড সুপারের রোগীদের জন্য অত্যন্ত কাজের হল মেথি শাক। লিভার ও হার্ট ভাল রাখতে কলমি শাকের জুড়ি মেলা ভার। এইরকমই বাদবাকি শাক থেকেও পাওয়া যায় উপকারী পুষ্টিগুণ। সহজে স্বল্পমূল্যে উপলব্ধ এই শাকের চাহিদা বর্তমানে আর নেই বললেই চলে।
(Feed Source: zeenews.com)