মালদা : ভরা পুজোর মাঝে একের পর এক ভয়াবহ আগুনের ঘটনা রাজ্যে। এবার মালদার কালিয়াচকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড । মধ্যমগ্রামের গেঞ্জি কারখানার পর এবার কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড়ে ব্যাগ তৈরির কারখানায় আগুন। কাপড়ের ব্যাগ তৈরির কারখানায় আগুন।
সদ্য মধ্যমগ্রামের বুকে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনাস্থল ছিল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাদু। অগ্নিদগ্ধ হয় বেশ কয়েকজন। একজনের মৃত্যু হয়। কারখানায় প্রচুর দাহ্য মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সমস্যায় পড়েছিল দমকল। কিছু বছর আগেই মধ্যমগ্রামের গেঞ্জি কারখানার সেই ভয়াবহ ঘটনা কেউ এখনও ভুলে যায়নি। যেখানে আগুন লাগার দিন কারখানার ভিতরেই ছিল একাধিক কর্মী। লেলিহান শিখা পেরিয়ে পারেননি বের হতে। রাত পেরিয়ে যখন সকালের আলো ফুঁটেছিল, আর তখন বেরিয়ে এসেছিল একাধিক পুড়ে যাওয়া দেহ।
সম্প্রতি প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে আগুন লেগেছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ওই বাড়িরই ২২-২৩বছরের তরুণ। গুরুতর জখম তরুণকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল MR বাঙুর হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তুলছিলেন স্থানীয়রা। এই ঘটনাস্থল কোন থানার অন্তর্গত, তা নয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একটা টালবাহানার অভিযোগ উঠে আসে। সেই সঙ্গে দমকল দেরীতে আসার অভিযোগ স্থানীয়দের। রানা নস্কর নামের ওই একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ঘরেই আগুন লাগে। তার মা যখন রান্না করছিলেন সেই সময় কোনওভাবে আগুন লাগে। এবং সেখান থেকে দ্রুত আগুন কিন্তু ছড়াতে থাকে। গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিক জায়গায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। গত কয়েকমাসের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী ছিল এসি। কোথাও আবার গ্যাসের সিলিন্ডার। তবে বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ের ওই এলাকায় আকাশ ছেয়েছে কালো তারে। শর্ট সার্কিটের জন্যও আগুন লাগার ভুরিভুরি ঘটানার উদাহরণ বহন করে চলেছে এই কলকাতা। কিন্তু কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ? দায়ী কে ? অগ্নিদাহ্য বস্তুগুলি নিয়ে কি দায়িত্বশীল নয় কেউ ? আগুন লাগলে কি আদৌ বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকছে ? ফের নগরবসারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল।
(Feed Source: abplive.com)