জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট আমেরিকায়। সারা বিশ্বের নজর এখন এইদিকেই। ইতোমধ্যেই লাখ লাখ আমেরিকান নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়েছে। সবার মতই নিজের গণঅধিকার প্রয়োগ করবেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। শুনতে খটকা লাগল! তাই না? কারণ কমবেশি সবাই জানেন যে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মহাকাশেই আটকে রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এতদিন ধরে মহাকাশে আটকে তিনি। তাহলে তিনি কীভাবে মহাকাশ থেকেই ভোট দেবেন।
মহাকাশচারী যাতে নিজেদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারে, তার জন্য নাসা দুর্দান্ত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোর চলতি বছরের বেশ কয়েক মাস ধরে মহাকাশেই আছেন। সুনিতা এবং বুচ স্পেস স্টেশনে ভোট দেবেন। নাসা তাদের মিশন কন্ট্রোল সেন্টারের মাধ্য়মে সেই ভোট এসে পৌঁছাবে জনসন স্পেস সেন্টারে স্পেস স্টেশনে। মহাকাশচারীরা স্পেস স্টেশন ইলেকট্রনিক ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদান করবেন। সেই ভোট NASA এর ট্র্যাকিং এবং ডেটা রিলে স্যাটেলাইট সিস্টেমের মাধ্যমে নিউ মেক্সিকোতে এজেন্সির পরীক্ষা সুবিধার একটি বিশাল অ্যান্টেনায় পাঠানো হয়।
সেখান থেকে, নাসা মিশন কন্ট্রোল সেন্টারের মাধ্যমে ব্যালটটি যিনি ভোটগণনা করবেন তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালটটি এনক্রিপ্ট করা হবে, যা শুধুমাত্র মহাকাশচারী এবং ভোটিং এজেন্টই অ্যাক্সেস করতে পারবে। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে মহাকাশে বসে প্রথম ডেভিড উলফ ভোট দেন। এরপর ২০২০ মার্কিন নির্বাচনের সময় কেট রুবিনস ভোট দিয়েছিলেন।
ভোট ছাড়াও কিছুদিন আগে, ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস পৃথিবীর উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে ছিলেন দীপাবলির শুভেচ্ছাবার্তার ভিডিয়ো। আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশন থেকে শেয়ার করা ভিডিয়োতে সুনীতা নিজের বাবার সম্পর্কেও স্মৃতিচারণ করেন। স্মৃতিচারণ করেন, ছোটবেলায় তাঁর বাবা কীভাবে বাড়িতে পরিবারের সবাই মিলে দীপাবলি পালন করতেন। সুনীতা বলেন, ‘২৬০ মাইল উপর থেকে তিনি দীপাবলি উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন।’ যা তাঁর কাছে অনন্য অভিজ্ঞতা বলে জানিয়েছেন সুনীতা।
প্রসঙ্গত, সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোর এই বছর আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশনে গত জুন মাস থেকে আটকে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকার ফলে শারীরিক অবনতিও ঘটে তাঁর।
(Feed Source: zeenews.com)