জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বাংলাদেশের সিনেদুনিয়ায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিচিত মুখ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (Mostafa Sarowar Farooki)। অনেক জনপ্রিয় নাটক এবং সিনেমার পরিচালনা করেছেন তিনি। আড়াই দশকের ক্যারিয়ারে ‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’, পিঁপড়াবিদ্যা’র মতো সিনেমা তৈরি করেছেন ফারুকী। বিনোদুনিয়ার পাশাপাশি এবার নতুন এক পরিচয় পেলেন এই নির্মাতা, তিনি এখন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা।
১০ নভেম্বর, রবিবার বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তিনজন নতুন উপদেষ্টাকে শপথ পড়িয়েছেন। সেই তিনজনের মধ্যে ছিলেন ফারুকীও। নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে এই চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেছেন, ‘উপদেষ্টা হওয়া আমার জন্য অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। কারণ আমি কখনোই কোন পদ বা চেয়ারে বসব ভাবিনি। প্রফেসর ইউনূসের কল পেলে তো না বলাটা মুশকিল। আমি আশা করি, আমি যে কয়দিনই কাজ করব, কিছু পরিবর্তন হয়ত ঘটাতে পারব। আর যদি সেটা ঘটাতে পারি, তাহলে মনে করব যে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছি, সেটা সফল হবে। যদি কোনো ভুল করি, ধরিয়ে দেবেন। আমি ভুল করলে সেটা মেনে নেব।’
শপথ গ্রহণের একটি ভিডিয়ো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। তিশা লেখেন, ‘নতুন পথচলার জন্য তোমাকে অভিনন্দন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আলহামদুলিল্লাহ।’ অভিনেত্রীর এই পোস্টে নেটিজেনদের অনেকে ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে যোগ দিলেন ফারুকী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে সক্রিয় ছিলেন ফারুকী। গণঅভ্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন। চলমান নানা ইস্যু নিয়ে নিয়মিত নিজের মতামত ও পরামর্শ দিয়েছেন।
(Feed Source: zeenews.com)