কলকাতার স্কুলে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া লিঙ্ক? বাড়ছে গ্রেফতারের সংখ্যা

কলকাতার স্কুলে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া লিঙ্ক? বাড়ছে গ্রেফতারের সংখ্যা

সুকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং করুণাময় সিংহ, কলকাতা, মালদা: জালিয়াতি করা হয়েছে ট্যাব কেনার সরকারি টাকা। পূরণের আগেই ভঙ্গ হয়েছে ‘তরুণের স্বপ্ন’! গায়েব হয়েছে ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া কোটি কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৭টি জেলা থেকে ট্যাবের টাকা জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে। এরই মধ্যে কলকাতার স্কুলে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া লিঙ্ক? উত্তর  দিনাজপুর থেকে কলকাতা পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত।

গতকাল বেহালার সরশুনার একটি স্কুলের তরফে অভিযোগ জমা পড়ে। বলা হয়, ৩১ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে সরশুনা থানার পুলিশ। এছাড়া, যাদবপুর ও কসবা থানাতেও দুটি স্কুলের তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। অন্যদিকে, এই নিয়ে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া থেকে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। এর আগে চোপড়া থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।

অন্যদিকে, ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে আরও চারজনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ধৃতরা প্রত্যেকেই সাইবার ক্যাফের মালিক। এই নিয়ে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে বৈষ্ণবনগর থেকে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। এর আগে আরও এক সাইবার ক্যাফের মালিক গ্রেফতার হয়। ধৃত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই বৈষ্ণবনগরের কৃষ্ণপুর এলাকার, বাকি ২ জন বৈষ্ণবনগরের চকসেহেরদি গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫টি পেন ড্রাইভ, ল্যাপটপ, কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক, ডায়েরি এবং ব্যাঙ্কের নথি। ট্যাব কেলেঙ্কারি চক্রে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা প্রথমে বেআইনিভাবে সরকারি পোর্টালে USER ID এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে LOG IN করে। তারপরে তারা উপভোক্তাদের অর্থাৎ পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দেয়। যার জেরে যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার কথা, সেই অ্যাকাউন্টে না ঢুকে টাকা চলে যায় বদলে দেওয়া অ্যাকাউন্টে।

(Feed Source: abplive.com)