ISL-এ খারাপ রেফারিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিক ক্লাব সেই বিষয়ে সরব হয়েছে। এবার সেই একই কারণে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফেও ভারতের প্রধান ফুটবল লিগে VAR চালু করার জোরাল দাবি জানানো হবে। বিশেষ করে গত ম্যাচে যা ঘটে তারপর। লাল-হলুদের অভিযোগ, গত ম্যাচে মহামেডানের বিরুদ্ধে তাদের ন্যায্য পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। এছাড়াও কিছু সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটো লাল কার্ড দেখার বিষয়টাও ভালো ভাবে নিচ্ছে না তারা। রেফারি হরিশ কুন্ডুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরাও। বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে ক্ষোভ মুখ খুলেছিলেন শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও। তিনি চক্রান্তের অভিযোগ করেছিলেন।
এবার পদক্ষেপ নেওয়া হবে ক্লাবের তরফেও। তাদের দাবি, আগেও বহুবার এমন খারাপ রেফারিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী সমিতির সদস্যরা। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে AIFF-র সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে কথা বলা হবে। সেই অনুযায়ী তাঁর থেকে তাড়াতাড়ি সময় চাওয়াও হবে। সরাসরি তাঁর কাছে ভারতীয় ফুটবলে VAR চালুর আবেদন জানানো হবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সভাপতি মুরালি লাল লোহিয়া বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে সভ্য–সমর্থকরা আমাদের কাছে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়টা তুলে ধরেছেন এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এরকম কিছু না ঘটে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আমাদের মনে হয় VAR চালু হলে সব টিমই উপকার পাবে।’
প্রসঙ্গত, শেষ ম্যাচে মহামেডানের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ISL-এ প্রথবার একে অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলছিল তারা। শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল চরম। তবে খেলার বয়স যখন ৩০ মিনিটের আশেপাশে, তখনই আসল ঘটনাটি ঘটে। অমরজিত সিং কিয়াম,নন্দ কুমারের জামা ধরে টান মারেন। তখন বল নিয়ে ঘোরার সময় নন্দর হাতটা অমরজিতের মুখে লাগে। মনে করা হয় নন্দ ইচ্ছে করেই তাঁর হাত চালিয়েছিলেন। প্রথমে রেফারি অমরজিতকে শুধু হলুদ কার্ড দেখালেও পরে নন্দকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এরপরেই রাগে জলের বোতলে সজোরে লাথি মারেন মহেশ। তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি হরিশ কুন্ডু। আগে একটি হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় মহেশকেও। ফলে, খেলার বাকি সময়ে ৯ জনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। তবে ম্যাচ শেষ হয় ০-০ ব্যবধানে। গোল করতে ব্যর্থ হয় মহামেডান।
(Feed Source: hindustantimes.com)