গবেষণায় বলা হয়েছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সে বিবাহ করেন, তাঁদের জীবন অনেক বেশি সুরক্ষিত হয়৷ তাঁরা যত বেশিদিন বৈবাহিক জীবন কাটান, তত বেশি করে তাঁদের দীর্ঘজীবনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়৷ অবিবাহিতদের তুলনায় তো অনেকটা বেশি বটেই৷
কোন বয়সের বিয়ে করা উচিত? বিয়ে করার সঠিক বয়স কোনটি? এই নিয়ে হাজার-একটা মতামতের শেষ নেই৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, বিয়েরও কিছু সুবিধাজনক বয়স আছে৷ আর সেই বয়সে বিয়েই সকলের জন্য মঙ্গলময়
হাভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের হাভার্ড পাবলিশিংয়ের পক্ষ থেকে বিবাহিত পুরুষ ও তাঁর আয়ু বিষয়ক একটি নিবন্ধ অনেকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল৷ সেই নিবন্ধে বলা হয়েছিল, ঠিক কোনও বয়সে বিয়ে করলে পুরুষদের আয়ু বেশি দেখা যায়৷
আমেরিকার মোট ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৪৫ জন প্রাপ্ত বয়ষ্কের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ সেখানে দেখা গিয়েছিল আশ্চর্য এক ফল৷ প্রাথমিক ভাবে তো বলা হয়েছিল, অবিবাহিত পুরুষদের তুলনায় বিবাহিত পুরুষের সুখ অনেক বেশি, সে কারণে আয়ু বেশি৷
কিন্তু প্রশ্ন হল, ঠিক কোনও বয়সে বিয়ে করলে পুরুষদের আয়ু বেশি দেখা যায়৷ সে কথায় পৌঁছানোপ আগে এটা ঘোষণা করে রাখা প্রয়োজন,বয়সের আগে বিয়ে করে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যের পুরুষরা, তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদের পরিমাণও বেশি৷ সুস্বাস্থ্যের অধিকারীরা সঠিক বয়সেই বিবাহ করেন৷
বিজ্ঞানীরা এই কথাও বলেছেন, শেষ ১৫০ বছরে বিবাহের নানা দিক নিয়ে গবেষণা হয়েছে, সেখানে প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বিবাহ মানুষকে সুখী করে৷ ফলে বিবাহিতরা অবিবাহিত পুরুষদের থেকে অনেক বেশি সুখে থাকেন৷
তবে তাঁরা এই কথাটিও বলেছেন, অসুখী বিবাহ নানারকম ভাবে মানুষের স্বাস্থ্যে প্রভাব বিস্তার করে৷ তাতে যে ভয়ানক স্বাস্থ্যহানী ঘটে, তা থেকে উঠে দাঁড়াতে অনেকেরই অসুবিধা হয়৷ কিন্তু সুখের বৈবাহিক জীবন মানুষকে আরও দীর্ঘজীবন দান করে৷
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সে বিবাহ করেন, তাঁদের জীবন অনেক বেশি সুরক্ষিত হয়৷ তাঁরা যত বেশিদিন বৈবাহিক জীবন কাটান, তত বেশি করে তাঁদের দীর্ঘজীবনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়৷ অবিবাহিতদের তুলনায় তো অনেকটা বেশি বটেই৷
(Feed Source: news18.com)