Budget Bikes- দেশের টু-হুইলার নির্মাণকারী সংস্থা তো বটেই, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলিও ভারতের বাজারে মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে। যা দুর্দান্ত ফুয়েল ইকোনমি অফার করে।
কলকাতা: হাই-মাইলেজ বাইকের বাজার আমাদের দেশে খুবই ভাল। দেশের টু-হুইলার নির্মাণকারী সংস্থা তো বটেই, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলিও ভারতের বাজারে মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে। যা দুর্দান্ত ফুয়েল ইকোনমি অফার করে। যদিও এই ধরনের বাইকগুলি কেনার জন্য প্রচুর খরচ করার কোনও প্রয়োজন পড়ে না।
হাই-মাইলেজ বাইকগুলির তালিকায় থাকা বেশ কিছু বাইক সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যেতে পারে। Honda, Bajaj, TVS এবং Hero-র মতো টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারতে রমরমিয়ে বাইক বিক্রি করছে। আর সেই বাইকগুলি দুর্দান্ত মাইলেজ প্রদান করে। সবথেকে বড় কথা হল, এই বাইকগুলির এক্স-শোরুম স্টিকার প্রাইস ১ লক্ষ টাকারও কম।
দেখে নেওয়া যাক, সর্বোচ্চ মাইলেজ প্রদানকারী এমন ৫টি বাইকের তালিকা। আসলে যাঁরা এই মুহূর্তে কম দামে হাই মাইলেজ বাইক কেনার কথা ভাবছেন, তাঁরা এই তালিকাটি একবার পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।
হাই-মাইলেজ প্রদানকারী সাশ্রয়ী মূল্যের বাইকগুলির তালিকা:
TVS Sport:
ভারতে বিক্রি হওয়া সর্বোচ্চ মাইলেজ প্রদানকারী বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম হল TVS Sport। এর মূল্য শুরু হচ্ছে ৫৯৮৮১ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে। এর টপ ভ্যারিয়েন্টের দাম পৌঁছতে পারে ৭১৩৮৩ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত। TVS Sport-এ থাকে ১০৯.৭ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার এয়ার-কুলড ইঞ্জিন। যা ৮.০৮ এইচপি এবং ৮.৭ এনএম পিক টর্কের সুবিধা প্রদান করে।
এর ফ্রন্ট এবং ব্যাকে রয়েছে ড্রাম ব্রেক। রিয়ারে থাকে একটি অ্যাডজাস্টেবল শক এবং ফ্রন্টে থাকে টেলিস্কোপিক ফর্কস। এই কমিউটার মোটরসাইকেলে থাকে একটি ফোর-স্পিড গিয়ারবক্স। আর এর এআরএআই-সার্টিফায়েড মাইলেজ লিটার প্রতি ৮০ কিলোমিটার।
Bajaj CT 110 X:
এই তালিকায় থাকা দ্বিতীয় মোটরসাইকেলটি হল Bajaj CT 110 X। এই বাজেট বাইকের মূল্য প্রায় ৭০১৭৬ টাকা (এক্স-শোরুম)। এই বাইকে রয়েছে ১১৫ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ৮.৪৮ এইচপি এবং ৯.৮১ এনএম পিক টর্কের সুবিধা প্রদান করে। এর ইঞ্জিনে থাকে ফোর-স্পিড গিয়ারবক্স।
এর রিয়ারে থাকে একটি স্প্রিং-ইন-স্প্রিং সেট-আপ এবং ফ্রন্টে থাকে টেলিস্কোপিক ফর্কস। এই বাইকের দুই এন্ডেই থাকে ড্রাম ব্রেক। কিন্তু তা পাওয়া যায় কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেমের সঙ্গে। দাবি করা হয় যে, CT 110X-এর এআরএআই-সার্টিফায়েড মাইলেজ লিটার প্রতি ৭০ কিলোমিটার।
Hero HF Delux:
এর দাম শুরু হচ্ছে ৫৯৯৯৮ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে। টপ-স্পেসিফিকেশন ভ্যারিয়েন্টে অবশ্য রয়েছে সেলফ-স্টার্ট অপশন। ফলে এর দাম দাঁড়াবে ৬৯০১৮ টাকায় (এক্স-শোরুম)। HF Delux-এ রয়েছে ৯৭.২ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ৭.৯১ এইচপি এবং ৮.০৫ এনএম পিক টর্কের সুবিধা প্রদান করে।
এই ইঞ্জিনের সঙ্গে রয়েছে ফোর-স্পিড গিয়ারবক্স। এর রিয়ারে থাকে একটি অ্যাডজাস্টেবল হাইড্রোলিক স্যুইনগার্ম শকস এবং ফ্রন্টে থাকে টেলিস্কোপিক ফর্কস। উভয় এন্ডে থাকা ড্রাম ব্রেক থেকে স্টপিং পাওয়ার আসে। দাবি করা হয় যে, Hero HF Delux-এ এআরএআই-সার্টিফায়েড মাইলেজ লিটার প্রতি ৭০ কিলোমিটার।
TVS Radeon:
১ লক্ষ টাকার কম মূল্যে পাওয়া যেতে পারে TVS Radeon। এর বেস ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ৫৯৮৮০ টাকা (এক্স-শোরুম)। এর টপ-স্পেসিফিকেশন মডেলের দাম ৮১৩৯৪ টাকা (এক্স-শোরুম)। TVS Radeon-এ রয়েছে ১০৯.৭ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ৮.০৮ এইচপি এবং ৮.৭ এনএম পিক টর্কের সুবিধা প্রদান করে।
এই ইঞ্জিনের সঙ্গে রয়েছে ফোর-স্পিড গিয়ারবক্স। এতে থাকে ফ্রন্টে থাকে অয়েল-ড্যাম্পড টেলিস্কোপিক শকস এবং আর রিয়ারে থাকে অ্যাডজাস্টেবল হাইড্রোলিক শকস। ফ্রন্ট আর ব্যাকে থাকে ড্রাম ব্রেকস। TVS Radeon মাইলেজ প্রদান করে লিটার প্রতি ৬৮.৮ কিলোমিটার।
Honda SP 125:
এর দাম শুরু হচ্ছে ৮৭৪৬৮ টাকা (এক্স-শোরুম)। Honda SP 125-এর টপ-স্পেসিফিকেশন মডেলে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক। ফলে এর দাম ৯১৪৬৮ টাকা (এক্স-শোরুম)। Honda SP 125-এ রয়েছে ১২৪ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ১০.৭২ এইচপি এবং ১০.৯ এনএম পিক টর্কের সুবিধা প্রদান করে।
এতে থাকে ফাইভ-স্পিড গিয়ারবক্স। SP 125-এ ফ্রন্টে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্কস এবং রিয়ারে থাকে হাইড্রোলিক শকস। এই বাইকের দুই দিকে থাকা ড্রাম ব্রেক থেকে আসে স্টপিং পাওয়ার। Honda SP 125 মাইলেজ প্রদান করে লিটার প্রতি ৬৮.৮ কিলোমিটার।