সদ্য জেক পলের কাছে বক্সিংয়ে পরাজিত হয়েছেন মাইক টাইসন। তবে তাঁর এই হার মেনে নিতে পারছেন না মাইকের একদা ট্রেনার জেফ ফেনেচ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া নাইনস টুডেতে সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি জানান মাইকের এই হারের ফলে বহু মানুষ প্রচুর টাকা হারিয়েছেন। শুক্রবার আর্লিংটনের AT&T স্টেডিয়ামে আট রাউন্ডের হেভিওয়েট বাউটে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জেক পল টাইসনকে পরাজিত করেন। এই লড়াইকে কেন্দ্র করে বিশ্ব জুড়ে চরম উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। ম্যাচটি সরাসরি লাইভ স্ট্রিম করা হয়েছিল নেটফ্লিক্সে, যেখানে প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষ মাইক এবং জেকের বাউটটি দেখছিলেন। মাইক টাইসনের জনপ্রিয়তা দেখে সবাই মনে করছিল তিনিই জয়ী হবেন। কিন্তু বাজিমাত করেন ২৭ বছরের ইউটিউবার বক্সার জেক পল। এই প্রসঙ্গে ফেনেচ বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হয়েছি।’
এই ৬০ বছর বয়সী প্রাক্তন বক্সার বলেন, ‘অনেক লোক আমাকে ফোন করেছে এবং আমার কারণে অনেকে অর্থ হারিয়েছে। আমি ঘটনায় বেশ বিব্রত।’ প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে ফেনেচ এবং মাইক একে অপরকে চেনেন, তাই তাঁর এই পরাজয় তিনি মেনে নিতে পারছেন না। যদিও তিনি মনে করেন হারলেও আসল বিজয়ী মাইকই। এই বাউটের আগে মাইক টাইসন মোট ৫৮টি ফাইটে অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে জিতেছিলেন ৫০টিতে। কিংবদন্তি বক্সার পরাজিত হয়েছিলেন মাত্র ৬টি বাউটে। ফেনেচ বলেন, ‘এই লড়াইটা ভয়ানক হতে পারত, তবে তিনি যা করেছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। ওঁ প্রমাণ করেছে এখনও লড়তে পারে। তিনি লোককে দেখিয়ে দিয়েছে ৫৮ বছর বয়সেও কঠোর পরিশ্রম করা সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি তাঁর পুরো জীবনশৈলীকে বদলে দিয়েছেন এবং আমি মনে করি এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো লড়াইয়ের চেয়ে বেশি তাৎপর্য রাখে।’
ফিনেচ বলেন, ‘আমি তাঁকে শুধু একটাই উপদেশ দিয়েছি, এই জিনিসটা আর করবে না।’ তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ওঁ অসুস্থতার কথা বলছিল..৫৮ বছর বয়সে শরীরের উপর এতো চাপ নিলে সুস্থ থাকা খুবই কঠিন। অনেক সময় অত্যাধিক কিছু করতে গিয়ে তুমি নিজের বিপদ ডেকে আনতে পার। আমি খুশি মাইক যা করেছে তার জন্য। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাড়িতে বসে এই ফাইট দেখেছে। বেশির ভাগ বক্সাররা এটাকে দুর্দান্ত ম্যাচ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন মাইক এক বিরাট কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন।’
(Feed Source: hindustantimes.com)