Space news: নাসা-এর মিশনেই গোলমাল, পরীক্ষা করতে গিয়েই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ধ্বংস? জার্মান বিজ্ঞানীর দাবিতে শোরগোল

Space news: নাসা-এর মিশনেই গোলমাল, পরীক্ষা করতে গিয়েই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ধ্বংস? জার্মান বিজ্ঞানীর দাবিতে শোরগোল

Space news: সত্তরের দশকে লাল গ্রহে নিরাপদে অবতরণ করেছিল মার্কিন মহাকাশ যান ভাইকিং ল্যান্ডার। প্রাণের খোঁজ হয়। কিন্তু আকাঙ্ক্ষিত ফল মেলেনি।

মঙ্গল নিয়ে বিস্ফোরণ

ওয়াশিংটন: মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনের চেষ্টা চলছে। উঠে পড়ে লেগেছে নাসা। বেশ কয়েকটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাও হাত মিলিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, মঙ্গলে কী আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? একাধিক মিশনেও কিন্তু এর কোনও প্রমাণ মেলেনি।

সত্তরের দশকে লাল গ্রহে নিরাপদে অবতরণ করেছিল মার্কিন মহাকাশ যান ভাইকিং ল্যান্ডার। প্রাণের খোঁজ হয়। কিন্তু আকাঙ্ক্ষিত ফল মেলেনি। গবেষকরা মনে করেন, মঙ্গল গ্রহের মাটি থেকে সংগৃহীত নমুনায় জীবনের প্রমাণ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তা খোঁজা হয়েছে, তা ধবংসাত্মক।

সহজে বললে, গোড়ায় গলদ। পরীক্ষার সময়ই প্রাণের অস্তিত্ব লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিনের বিজ্ঞানী ডার্ক শুলজ-মাকুচ। ২০২৩ সালে ‘বিগ থিঙ্ক’ এবং ২০২৪ সালে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’-তে এই নিয়ে কলাম লিখেছিলেন তিনি। সেখানেই শুলজ-মাকুচ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “আমাদের পদ্ধতিগুলিই হয়ত ধ্বংসাত্মক ছিল।”

১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইকিং ১ মিশনে মঙ্গলের পৃষ্ঠে দুটি মহাকাশযান অবতরণ করে। লাল গ্রহের হালহদিশ এবং প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজাই ছিল উদ্দেশ্য। এরপর মঙ্গলের মাটির নমুনার সঙ্গে জল এবং পুষ্টি উপাদান মিশিয়ে পরীক্ষা করা হয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান ছিল, পৃথিবীর মতো মঙ্গলেও বেঁচে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন।

প্রাথমিক ফলাফলে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। উচ্ছ্বসিত হন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিতর্কও হয়। প্রায় এক দশক ধরে চলা বিতর্কের শেষে গবেষকরা সব আশায় জল ঢেলে দিয়ে বলেন, “ফলস পজিটিভ”, প্রাণের অস্তিত্ব নেই। শুলজে-মাকুচের অনুমান, ভাইকিং ল্যান্ডারগুলি মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার সময়ই হয়ত অনিচ্ছাকৃতভাবে সেগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছিল।

চিলির আটাকামা মরুভূমি-র চরম পরিবেশে মাইক্রোবায়োলোজিকাল জীবনের অস্তিত্ব মিলেছে। মঙ্গল গ্রহেও সেরকম প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়, যা অত্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়াতেও বেঁচে থাকতে পারে। শুলজ-মাকুচ এমনটাই মনে করেন। তিনি স্পষ্ট বলছেন, “নাসা-এর ভাইকিং ল্যান্ডার হয়ত ভুল করে মাইক্রোবায়োলোজিকাল জীব্বগুলোকে মেরে ফেলেছে। খুব বেশি জল দেওয়াটা ঠিক হয়নি।”

শুলজ-মাকুচ বলেন, এই ধরণের প্রাণী আর্দ্রতা শোষণ করতে নুন ব্যবহার করে। তাই ভবিষ্যতে জলের পরিবর্তে হাইগ্রোস্কোপিক সল্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নাসা মনে করে, জীবের বেঁচে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন। মাকুচের তত্ত্ব নাসা-কেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। তবে তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল। তাঁর মতে, সোডিয়াম ক্লোরাইড মঙ্গলগ্রহের প্রধান লবণ, সম্ভবত মাইক্রোবায়াল জীবনকে টিকিয়ে রাখতে পারে, ঠিক যেমন কিছু ব্যাকটেরিয়া পৃথিবীতে ব্রাইনের সলিউশনগুলিতে বেড়ে ওঠে।