প্রচণ্ড ঝাল, মশলাদার এই আইসক্রিম! পুরো শেষ করতে পারলে টাকা নেয় না দোকানদার

প্রচণ্ড ঝাল, মশলাদার এই আইসক্রিম! পুরো শেষ করতে পারলে টাকা নেয় না দোকানদার

#নয়াদিল্লি: গ্রীষ্মে মন-প্রাণ ঠান্ডা করতে পার একটাই জিনিস, তা হল আইসক্রিম। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ আইসক্রিম পছন্দ করে। তবে একেকজন একেকররক স্বাদের আইসক্রিম পছন্দ করেন। হট অ্যান্ড স্পাইসি আইসক্রিমের ব্যাপারটা অবশ্য আলাদা। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে এমন আইসক্রিম খাওয়ায়, তা ঠান্ডা না করে মুখে প্রায় আগুন ধরিয়ে দেয়, তাহলে কেমন হবে?

এই ধরনের আইসক্রিম জাপানের ছোট্ট গ্রাম হিরাতাতে পাওয়া যায়। যারা এটি খেতে যান, তাদের কাছে এই আইসক্রিম শেষ করাটা একটি চ্যালেঞ্জ। এই আইসক্রিম মুখে দেওয়ার পর অনেকেই আর সেটা শেষ করতে পারে না। যে পুরোটা খেতে পারে তাঁর কাছ থেকে দোকানদার কোনও টাকা নেয় না। ফুকুশিমার হিরাতা গ্রাম মশলাদার আইসক্রিমের জন্য বিখ্যাত। তবে সব থেকে জনপ্রিয় হল এই লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া আইসক্রিম।

লঙ্কার গুঁড়ো টপিং করা থাকে-

বিশ্বে সব থেকে ঝাল লঙ্কাগুলির মধ্যে একটি দেওয়া হয় এই আইসক্রিমে। হাবনেরো লঙ্কার গুঁড়ো উপরে দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই আইসক্রিম। এবার এই আইসক্রিম খেয়ে কে কতটা ঝাল সহ্য করতে পারে, সেটা দেখতেও ভিড় জমে যায়। এটি এতটাই ঝাল যে খাওয়ার আগে দোকানদাররা ক্রেতার কাছ থেকে একটি নোট নিয়ে নেন। সেই নোট-এ গ্রাহকরা লেখেন, তাঁরা নিজের দায়িত্বে এটি খাচ্ছেন।

এটি এমন একটি আইসক্রিম, যা তৈরি করা যতটা কঠিন, তার চেয়ে বেশি এটি খাওয়া কঠিন। জাপানের একটি বিখ্যাত রিয়েলিটি শো-তে একজন রিপোর্টার চেষ্টা করার সময় তার ভিডিওটি তুলে রেখেছিলেন। সেই ভিডিওতে আইসক্রিম খাওয়ার পর তাঁর অবস্থা দেখা যায়।

এই আইসক্রিমটি ২০১১ সালে ফুকুশিমায় তৈরি করা শুরু হয়েছিল। সুনামর পর এখানকার মানুষের জাবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন হয়। এরই মধ্যে এখানকার চাষিরা ছোট হাবনেরো লঙ্কা চাষ করতে শুরু করেন।

২০১৫ সালে আইসক্রিমের সঙ্গে এই মশলাদার লঙ্কা পরিবেশন শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে এই আইসক্রিম হিট হয়ে যায়। যাঁরা এটি খায় তাঁরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মশলাদার করে দিতে বলেন। যে সবচেয়ে ঝাল আইসক্রিম খায়, তাঁর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয় না।

Published by:Suman Majumder

(Source: news18.com)