বাংলাদেশে সদ্য বছরের মাঝখানে ছাত্র জন আন্দোলনের জেরে সরকার থেকে পতন হয় শেখ হাসিনার। গদিচ্যুত হাসিনা সেই দুপুরেই হলিকপ্টারে ভারতে চলে আসেন। এদিকে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত করছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। সেই ট্রাইবুনালই নির্দেশ দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ মন্তব্য সরিয়ে ফেলা হয়।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্ব দুই সদস্যের ট্রাইবুনাল এক শুনানির শেষে হাসিনার বিদ্বেষমূলক মন্তব্য দুই ধরনের মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলতে বলে। এমনকি ভবিষ্যতেও যাতে এমন ধরনের বিদ্বেষের বার্তা পাবলিশ না হয়, তারও বার্তা স্পষ্ট করেছে ট্রাইবুনাল। দেশের পক্ষের এক আবেদনে এই বার্তা আসে। অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটার গাজি হুসেইন বলছেন, ট্রাইবুনাল বাংলাদেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছে যে সব বিদ্বেষমূল বক্তব্য ওই দুই মাধ্যমে এখনও আছে, তা অতিদ্রুত সরাতে হবে। তিনি বলছেন,’আন্তর্জজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে প্রসিকিউশনের অধীনে যে মামলাগুলো তদন্তের অবস্থায় রয়েছে… তদন্তকালে কোনও মামলার আসামি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে পারেন না, যাতে এই মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়।’
কেমন ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কথা বলা হচ্ছে? গাজি হুসেইন বলছেন, ‘মামলার একজন আসামি’শেখ হাসিনার কিছু মন্তব্য ও ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। হুসেইনের দাবি, সেখানে শেখ হাসিনা (অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) বলছেন, ২২৭ জনের হত্যার সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছেন, লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছেন। হুসেইনের দাবি, হাসিনা বলেন, তোমাদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর নেই! হুসেইর দাবি এই ধরনের কথা মামলার নির্যাতিতদের জন্য এক ধরনের ‘হুমকি’। এই ধরনের বক্তব্য এই মামলায় বিচার চলাকালীন সাক্ষীদের আনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে বলে মনে করছেন গাজি। গাজি বলেন, ‘হেট স্পিচ সারা পৃথিবীতে সব আইনে, সব জায়গায় ফৌজদারি অপরাধ।’ তিনি বলেন,’এর আগে, যে সব বিদ্বেষমূলক কথা সোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আসছে, সেগুলো রিমুভের আবেদন করেছিলাম, এসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এখনও বিদ্যমান, তা সরাতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যাতে পাবলিশ না হয়, সেজন্য ট্রাইবুনাল আদেশ দিয়েছে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)