দুবাই, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি এর জলজ্যান্ত প্রমাণও মিলেছে। আজকাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে যে একটি গাড়ির বনেটে একটি সোনার নেকলেস এমনিই পড়ে রয়েছে। কেউ ছুঁয়েও দেখছেন না।
আসল ব্যাপারটা কী
আজকের এই মূল্যস্ফীতির যুগে, কীভাবে কোনও ব্যক্তি দামি সোনার নেকলেস এইভাবে ফেলে রেখে যেতে পারেন, এই ভিডিয়োটি দেখে সেটাই বুঝতে পারছেন না নেটিজেনরা। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে এই গাড়িটি জনাকীর্ণ রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানুষ এর পাশ দিয়ে যাচ্ছে এবং সোনার হার দেখে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের কেউই সেই নেকলেস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথাও হয়ত ভাবছেন না।
আসলে, এটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া টেস্ট ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার লায়লা আফশোনকার এটা দেখাতে চেয়েছিলেন যে দুবাই ঠিক কতটা নিরাপদ জায়গা। যেখানে যে কোনও দামি জিনিসও ঠিক এতটাই নিরাপদ। লায়লা আফশোনকারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এই ভিডিয়োটি এখন পর্যন্ত ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। যদিও, এই ভিডিয়ো দেখার পরেও ওই ইনফ্লুয়েনসারের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে একমত নন অনেকেই। কেউ বলেছেন, দুবাইতে সোনা সস্তা। আবার কেউ দুবাইয়ের কঠোর নিয়মের প্রশংসাও করেছেন।
ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, লায়লা আফশোনকার একটি জুয়েলারি দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। যেখানে নিজের সোনার নেকলেস এবং কানের দুল একটি গাড়ির বনেটে রেখে, তারপর দোকানের ভিতরে চলে যান। এরপর লায়লা দোকানের ভিতর থেকে ভিডিয়ো বানাতে থাকেন এবং ভিডিয়োতে আরও দেখা যায় যে গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া অনেক লোক নেকলেসটি লক্ষ্য করছেন। লায়লা ভিডিয়োতে বলেন যে তিনি প্রায় ৩০ মিনিট ধরে গাড়ির বনেটে নেকলেসটি রেখেছিলেন কিন্তু কেউ তা তুলে নেননি। এমনকি ভিডিয়োর একটি অংশে এও দেখা যায়, নেকলেসটির কিছু অংশ নিচে পড়ে গেলে পাশ দিয়ে যাওয়া এক মহিলা সেটি তুলে আবার বনেটের ওপর রেখে দেন। এই বিষয়টিই নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
একজন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, আমি একবার আমার হ্যান্ডব্যাগটি একটি ল্যাপটপ, পাসপোর্ট এবং নগদ সহ ভুলে গিয়েছিলাম। এক ঘণ্টা পরে, আমি বুঝতে পারি এটি হারিয়েছে। এর দুই ঘণ্টা পরে, আমি এটি যেখানে রেখেছিলাম সেখান থেকেই আবার ফেরত পেয়েচি। কেউ এটি স্পর্শ করেনি! অন্য একজন আবার উদ্বিগ্ন হয়ে মন্তব্য করেছেন, প্রকৃতপক্ষে, দুবাই অবিশ্বাস্যভাবে নিরাপদ, যা কখনও কখনও এর বাসিন্দাদের কিছুটা অসাবধান করে তোলে, যখন তাঁরা কম নিরাপদ দেশগুলিতে যান, তখন সবটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।
দুবাইতে কঠোর নিয়ম রয়েছে
দুবাইতে অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি রয়েছে। তথ্যমতে, এখানে চুরির অপরাধে অন্তত ছয় মাস থেকে তিন বছরের জেল হতে পারে। শুধু তাই নয়, দোষী সাব্যস্তদের উপর ভারী জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া দুবাই আইন অনুযায়ী, এখানে চুরির চেষ্টা করলেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে এবং তিন মাস থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত জেল বা জরিমানার নিয়ম রয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)