
আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হবে, সেই কারণেই যুবভারতীতে ১১ জানুয়ারির ডার্বি করা যাবে না। গঙ্গাসাগরের জন্য ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। তাই ডার্বির জন্য আর পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি ডার্বি ম্য়াচ অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে? আসলে চলতি মরশুমে ফিরতি ডার্বিটি হওয়ার কথা ছিল ১১ জানুয়ারি।
তবে এ বিষয়ে রাজ্য সরকার নিজেদের মত জানিয়ে দিয়েছে, তারা বলে দিয়েছে যুবভারতীতে ১১ জানুয়ারির ডার্বি ম্যাচ করা যাবে না। সোমবার নব মহাকরণে এক সাংবাদিক বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা চলবে, সেই কারণেই পুণ্যার্থীদের খেয়াল রাখার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। এই কারণেই ওই ম্যাচের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই যুবভারতীতে ১১ জানুয়ারির ডার্বি করা যাবে না।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সোমবার জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি তারা ২৫ দিন আগেই আয়োজকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফিরতি লেগের ডার্বির আয়োজক মোহনবাগান। তাদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দিন দুয়েক আগে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফেও ডার্বিতে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না বলে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে বাংলার ফুটবল ভক্তদের সামনে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তরফ থেকে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত মোহনবাগান ক্লাবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এই ডার্বিটির আয়োজক মোহনবাগান ক্লাব। এখন ডার্বি হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, কারণ আইএসএল আয়োজকদের কাছেই রয়েছে এর উত্তর। তারা ওই দিন অন্য কোনও শহরে ম্যাচ আয়োজন করবে, নাকি দিন পরিবর্তন করবে সেটা আইএসএল আয়োজকরাই ঠিক করবেন।
সাধারণত ডার্বি আয়োজন করতে ১২০০ থেকে ১৫০০ পুলিশ লাগে। ৬০ হাজারেরও বেশি দর্শক ম্যাচ দেখতে মাঠে আসেন। এই পরিমাণ পুলিশ গঙ্গাসাগর মেলার মাঝে পাওয়া যাবে না বলে জানাতেই দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এ দিকে রাজ্য পুলিশ ওই ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক জঙ্গি ধরা পড়ছে, সেই কারণেই নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা চলবে। সেই মেলা আয়োজন এবং পুণ্যার্থীদের খেয়াল রাখার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
(Feed Source: hindustantimes.com)