প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ তদন্ত আপাতত সিবিআইয়ের হাতেই, জানাল হাইকোর্ট

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ তদন্ত আপাতত সিবিআইয়ের হাতেই, জানাল হাইকোর্ট

‌প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তদন্ত আপাতত সিবিআইয়ের হাতেই থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিয়ে এই কথাই জানিয়ে দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

এদিন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানান, ২০১৫ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিল ২৩ লাখ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পর্ষদ ভুল সংশোধন করতে রাজি আছে। সেইমতো ভুল সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তিনি জানান, সংখ্যাটি ২৬৯ জন নয়, তদন্ত করে দেখা হয়েছে ২৬৫ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি দ্বিতীয় প্যানেলে জায়গা পাওয়া ২৬৯ জনকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সবাই কেন এই নম্বর পেলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য পর্ষদের আইনজীবী জানান, সবাইকে এক নম্বর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পর্ষদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন নিয়ে সমস্যা ছিল। সেইকারণেই বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছে। যে ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের সকলের চাকরি বাতিল করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালে পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর ২০১৬ সালে প্রথম প্যানেল প্রকাশ হয়। এরপর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় প্যানেলে এই ২৬৯ জনের নাম ছিল।

(Source: hindustantimes.com)