স্বামীর চলে যাওয়া, দুই সন্তানেরও মৃত্যু! মোটেই সহজ ছিল না দ্রৌপদীর জীবন

স্বামীর চলে যাওয়া, দুই সন্তানেরও মৃত্যু! মোটেই সহজ ছিল না দ্রৌপদীর জীবন

একের পর এক ধাক্কা!

আনন্দের মধ্যেও দ্রৌপদীর জীবনে রয়েছে চাপা কষ্ট! খুব অল্প সময়ে মৃত্যু হয় সাঁওতাল পরিবারের মেয়ে দ্রৌপদীর স্বামী’র। আর এর দুঃখ ভুলতে না ভুলতেই দুই সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন ঝাড়খন্ডের প্রথম আদিবাসী এই রাজ্যপাল। মুর্মুর বিয়ে শ্যাম চরম মুর্মু’র সঙ্গে হয়েছিল। তাঁদের জীবনে দুই পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তান আসে। কিন্তু সুখের সংসার বেশিদিন থাকল না । তবে বছর খানেক আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। নাতি, জামাই এবং মেয়েকে নিয়েই খুশি দ্রৌপদী।

মেয়েকে পড়ানোর জন্যে শিক্ষকতার কাজও করেছেন

মেয়েকে পড়ানোর জন্যে শিক্ষকতার কাজও করেছেন

তবে একটা সময়ে ঘর চালাতে এবং মেয়েকে পড়ানোর জন্যে শিক্ষকতার কাজও করেছেন। শিক্ষিকা হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। শুধু তাই নয়, ওডিশার সেচ বিভাগে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট অর্থাৎ কেরানি হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। চাকরী থেকে যে বেতন দ্রৌপদী পেতেন তা থেকে সংসারের খরচ চালাতেন তিনি। শুধু তাই নয়, মেয়ে ইতি মুর্মুকেও ওই বেতনের টাকাতেই লেখাপড়াও করান।

জীবনটা খুব একটা সহজ ছিল না

জীবনটা খুব একটা সহজ ছিল না

জীবনটা খুব একটা সহজ ছিল না। ছোট থেকেই একটা অনটন ছিলই। আর তাই মেয়ে ইতি কলেজের পড়াশুনা শেষ করার পরেই একটা ব্যাঙ্কে চাকরি করতে শুরু করে দেন। ইতি মুর্মু আজকাল রাঁচিতে থাকেন। কয়েক বছর আগে ঝাড়খণ্ডের গণেশকে বিয়ে করেন ইতি। দুজনেরই একটি কন্যা আদিশ্রী রয়েছে। সুখের সংসার।

দ্রৌপদীর কাজ নজর কেড়েছে

দ্রৌপদীর কাজ নজর কেড়েছে

১৯৫৮ সালে’র ২০ জুন দৌপদীর জন্ম। ওডিশার ময়ুরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে তাঁর জন্ম। ছোট থেকেই পড়াশুনাও ভালো ছিলেন মুর্মু।

ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময় দ্রৌপদী মুর্মু মন্ত্রী ছিলেন। বাণিজ্য এবং পরিবহণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। এমনকি মৎস্য এবং প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। আর এরপর ঝাড়খন্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন। সে রাজ্যের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। এমনকি অবশ্যই আদিবাসী মহিলা রাজ্যপাল হিসাবেও দ্রৌপদীর কাজ নজর কেড়েছে।

(Source: oneindia.com)