দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু! শহরের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমে কোথায় কী হচ্ছে?

দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু! শহরের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমে কোথায় কী হচ্ছে?

#শুভাগতা দে, কলকাতা: ১০০…৯৯…৯৮…৯৭…শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বজনীন দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনার জন্য পুজো হলেও, জাঁকজমক সেভাবে হয়নি। মানুষ ঠাকুর দেখলেও, মনের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার ভয় ছিলই। কিন্তু এ বারে ভয়ের মতো পরিস্থিতি এখনও নেই। সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বাড়লেও, টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। তাই পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে শুরু করে থিমমেকাররা, সকলেই আশাবাদী। দু’বছরের বাধা কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশায় কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরাও।

কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বিশ্বের মঞ্চে সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার সাফল্য উদযাপন করতে রাজপথে নেমেছিল কলকাতার ছোট থেকে বড় সব পুজো কমিটির সদস্য এবং শিল্পীরা। বর্ণাঢ্য সেই শোভাযাত্রা দেখতে উপচে পড়েছিল ভিড়। আর তারপর থেকেই যেন পুজো নিয়ে বাড়তি আশা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। ফলে এ বারের পুজো যে অনেক বড় আকারে হবে এবং তা দেখতে অন্য রাজ্য বা দেশ-বিদেশ থেকেও মানুষ আসতে পারেন, তা অনুমান করাই যায়। পুজোর মাত্র ১০০ দিন বাকি, ফলে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। ঠিক হয়েছে থিম। কোথাও কোথাও ইনস্টলেশনের কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু সময় এখনও অনেক বাকি, তাই এতদিন আগে বেশিরভাগ পুজো কমিটির সদস্যরাই থিম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তবে জানা গিয়েছে বেশ কিছু থিমের পোশাকি নাম।

কলকাতার অন্যতম বড় পুজো দক্ষিণের নাকতলা উদয়ণ সঙ্ঘ, এ বারে তাদের মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বে শিল্পী প্রদীপ দাস। প্রদীপের হাতে সেজে উঠবে দমদম তরুণ দলও। শিল্পী ভবতোষ সুতারের ছোঁয়ায় রূপ পাবে অর্জুনপুর আমরা সবাই এবং তাঁর হাতেই তৈরি হচ্ছে সিকদার বাগানের প্রতিমা। সনাতন দিন্দা সাজিয়ে তুলছেন বকুলবাগান এবং তাঁর হাতের সেজে উঠবেন হাতিবাগান সর্বজনীনের প্রতিমাও। শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তের হাতে সেজে উঠবে ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের প্রতিমা এবং মণ্ডপ। বিশ্বনাথ দের হাতে কুমোরটুলি সর্বজনীন এবং খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া এবং কালীঘাট মিলন সংঘের মণ্ডপ এবং প্রতিমা সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব। অনির্বাণ দাস সাজিয়ে তুলবেন গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব, দমদমপার্ক ভারতচক্র, পূর্বাচল শক্তিসংঘ এবং আলিপুর ৭৮ পল্লী। রিন্টু দাসের হাতে সেজে উঠছে সুরুচি সংঘ এবং বড়িশা ক্লাব। উত্তরের উত্তর ১০২ বছরে পা দেওয়া টালা বারোয়ারি সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী সঞ্জীব সাহা। কৃষাণু পালের হাতে সেজে উঠছে সমাজসেবী। সন্তোষপুর ত্রিকোন পার্ক সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী দেবজিৎ চক্রবর্তী এবং সুব্রত সাহা।

শিল্পী সুশান্ত পাল সাজিয়ে তুলবেন ৯৫ পল্লী, টালা পার্ক প্রত্যয় এবং হরিদেবপুর বিবেকানন্দ অ্যাথলেটিক ক্লাব। বেশ কয়েক বছর পর পুজোর আঙিনায় ফিরছেন শিল্পী অমর সরকার, সাজিয়ে তুলবেন অজেয় সংহতির মণ্ডপ। ৬৬ পল্লীর মণ্ডপ এবং প্রতিমা সাজিয়ে তলার দায়িত্বে শিল্পী পূর্ণেন্দু দে। ঠিক তার পাশেই বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘের মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে শিল্পী দেবতোষ কর। শিল্পী বিমল সামন্ত সাজিয়ে তুলছেন চোরবাগান সর্বজনীন এবং বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। চোরবাগান সর্বজনীনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, তাদের এ বারের থিক ‘অন্তশক্তি’। ত্রিধারা এবং মুদিয়ালির পুজোর দায়িত্বে শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা। অভিজিৎ ঘটক সাজিয়ে তুলবেন সন্তোষপুর লেকপল্লী। শিল্পী অদিতি চক্রবর্তী সাজিয়ে তুলছেন কাশীবোস লেন এবং বেহালা ক্লাব। দক্ষিণ কলকাতার শিবমন্দির সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান সাহা সাজিয়ে তুলবেন যোধপুরপার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি এবং কালীঘাট ৬৪ পল্লী। নলীন সরকার স্ট্রীট এবং দমদমপার্ক তরুণ সংঘের মণ্ডপ সাজাবেন শিল্পী মানস দাস।

Published by:Shubhagata Dey

(Source: news18.com)