
ইস্টবেঙ্গলের এই মরশুমের দল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্য়ে অন্যতম সেরা দল, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। লালহলুদ কর্তা এবং বিনিয়োগকারীরা মরশুম শুরুতে যে দল বানিয়েছিল তাতে সমস্ত সমর্থকরাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন। গতবারের দল থেকে যেমন ক্লেইটন সিলভা, সাউল ক্রেসপো, হিজাজি মাহেরদের দলে ধরে রেখেছিল দল, তেমন নতুন ফুটবলারদের নেয় ক্লাব।
গতবারের আইএসএলের টপ স্কোরার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে কেরল ব্লাস্টার্স থেকে নিয়ে আসে ইস্টবেঙ্গলের স্পন্সর, ইনভেস্টররা। এরপর আসেন মাদিহ তালাল। তিনি আবার গত আইএসএলের সব থেকে বেশি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। এছাড়াও মোহনবাগান ডিফেন্সে গতবার নেতৃত্ব দেওয়া হেক্টর য়ুসতে এবং আনোয়ার আলিকেও সই করায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, তারা দুজন গতবারের আইএসএল শিল্ডজয়ী বাগানের প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন।
অর্থাৎ ফুটবলারদের প্রোফাইল বা মান যদি দেখা যায়, তাহলে এখন ১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলে ১১ নম্বরে থাকবে ইস্টবেঙ্গল, সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মাঝপথে কোচ পরিবর্তন করেও দলে এখনও কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি। আসা সম্ভবও নয়, কারণ মরশুমের মাঝপথে লালহলুদের দায়িত্বে আসেন ব্রুজো। লালহলুদের কর্তা, বিনিয়োগকারীরা তাই এখন ব্যস্ত দলের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে।
ইস্টবেঙ্গলের কর্তা আদিত্য আগরওয়াল নাম কা ওয়াস্তে দল কেনেননি। তিনি যথেষ্ট অর্থৎ খরচ করেই দল বানিয়েছিলেন। তাই তিনি বলছেন, ‘আমরা তো মাঠে নেমে খেলিনা, আমাদের কাজ ভালো দল গড়ে দেওয়া। যদি আমাদের দল খারাপ হত, তাহলে বুঝতাম। মরশুম শুরুতে সবাই বলেছিল এবারে আমাদের দল খুব ভালো হয়েছে, অন্তত লিগ টেবিলে ১১ নম্বরে থাকার মতো যে নয়, তা বলতে পারি। এরপর কোচ বদল এল। তারপর তিনি যেরকম ফুটবলার চেয়েছেন আমরা সেরকম ফুটবলারই এনে দিয়েছি। প্ল্যান এ, প্ল্যান বি অনুযায়ী ফুটবলার দিয়েছি, তারপরেও কেন এমন ব্যর্থ হচ্ছে দল সেটা আমরাও ঠিক বুঝতে পারছি না ’।
আদিত্য আগরওয়াল আরও বলছিলেন, ‘একটা বিষয় যেটা মনে হয়, সেটা হচ্ছে প্রথম দিকে আইএসএলে আমরা টানা ৬টা ম্যাচে হেরেছিলাম, সেই সময় যদি ২-১টা ম্যাচ জিতে থাকতে পারতাম বা অন্তত ৪-৫ পয়েন্টও পেতাম, তাহলেও আমরা অন্তত সুপার সিক্সের জন্য লড়াইয়ে থাকতে পারতাম, শুরুটাই আমাদের খারাপ হয়েছে। সেই কারণে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত লেগেছে। এখন উপায় নেই, এএফসির প্রতিযোগিতাতেই তাই টার্গেট করতে হবে ’।
ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছিলেন, ‘কোচকে আনা হয়েছে, তিনিই এখন দলের দায়িত্বে রয়েছেন। তাই দল কেন সেরকম পারফরমেন্স করতে পারছে না, সেটা উনিই বলতে পারবেন। আমরা মাঠের বাইরের বিষয়টি দেখতে পারি, কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে কোচরাই ভালো বুঝতে পারে। তাই কোচই বলতে পারবে দল কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, আমরা বা ইনভেস্টররা সেকথা বলতে পারব না। আর ভারতীয় হোক বা বিদেশি, সব ফুটবলারদেরই কোচের পছন্দ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। আর দুজন নতুন ফুটবলার দলে এসেছে সবেমাত্র, তাই তাঁদেরও সময় লাগবে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ’।
(Feed Source: hindustantimes.com)