
প্রশ্নটিতে কেজরিওয়ালকে IIT-এর প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছিল— কেজরিওয়াল যদি প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনতে চান, কী ভাবে একটি সস্তার ফিল্টার ডিজাইন করা যায়? পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের এই অংশ প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা নানা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেন এবং রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নটিতে কেজরিওয়ালকে IIT-এর প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছিল— কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনতে চান, তাই কীভাবে একটি সস্তার ফিল্টার ডিজাইন করা যায়?
পুরো বিষয়টি কী?
IIT কানপুরের এক ছাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্নপত্রের ছবি পোস্ট করেন, যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। প্রশ্নটি ছিল, **‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনার জন্য কীভাবে ১০৫.৪ MHz ফ্রিকোয়েন্সিতে একটি সস্তার ফিল্টার ডিজাইন করা যায়?** পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে উল্লেখ ছিল, নির্বাচনের পর IIT-এর এক প্রাক্তনী এই প্রযুক্তিগত সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই প্রশ্ন ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
IIT কানপুরের ডিরেক্টরের প্রতিক্রিয়া
এই প্রসঙ্গে IIT কানপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক মনীন্দ্র আগরওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি বলেন, “বর্তমান ঘটনা বা আলোচিত বিষয়ের সঙ্গে প্রশ্ন সংযুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সহজে বুঝতে পারে।”
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কী ভাবে **একটি ফিল্টার ডিজাইন করা যায়, যা বিবিধ ভারতী এবং অন্যান্য FM চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি পাস করিয়ে ১০৫.৪ MHz শোনা সম্ভব করবে।** এটি সম্পূর্ণ একাডেমিক প্রশ্ন ছিল এবং এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের **প্রযুক্তিগত জ্ঞান যাচাই করা।**
প্রতিক্রিয়া মিলছে দু’ভাগে—
এই প্রশ্নকে নিয়ে সমাজের একাংশ মনে করছে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আবার অনেকে এটিকে নিছক একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে মনে করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
IIT কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এটি একটি একাডেমিক প্রশ্ন এবং এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।