সুগার না থাকলেও সচেতন থাকুন, এই অতি সাধারণ লক্ষণ দেখলেই ডাক্তার দেখান

সুগার না থাকলেও সচেতন থাকুন, এই অতি সাধারণ লক্ষণ দেখলেই ডাক্তার দেখান

সারা বিশ্বে এখন প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডায়াবিটিস। বিশেষ করে ভারতে, এই রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, এখনও এর হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, ডায়াবিটিস হওয়ার আগে, প্রি-ডায়াবিটিস নামে একটি পর্যায় আসে। আর এই পর্যায়েই সাবধান হয়ে যেতে হবে। প্রি-ডায়াবিটিস পর্যায়ে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, কিন্তু ডায়াবিটিসের পর্যায়ে পৌঁছোয় না। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবিটিসের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।

প্রি-ডায়াবিটিসের লক্ষণ কী কী

  • ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত বোধ করা।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
  • ঘ ঘন ক্লান্তি বোধ করা।

প্রি-ডায়াবিটিস কেন হয়

  • শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে প্রি-ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • স্থূলতার কারণে প্রি-ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ প্রি-ডায়াবিটিসকে উসকানি দিতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়েও এই রোগ আসতে পারে।
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম প্রি-ডায়াবিটিসের কারণ হতে পারে।
  • ভালো কোলেস্টেরল কমে গেলে প্রি-ডায়াবিটিসের হতে পারে।
  • উচ্চ খারাপ কোলেস্টেরল আবার প্রি-ডায়াবিটিসকে উসকানি দিতে পারে।
  • পরিবারে কারও সুগার বা ডায়াবিটিস থাকলেও সাবধান।

প্রি-ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করবেন কীভাবে

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হওয়া জরুরি।

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন – ব্যায়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। অতএব, নিয়মিত জোরে জোরে হাঁটা, জগিং, দৌড়, যোগব্যায়াম, ধ্যান, কার্ডিও ইত্যাদির মতো ব্যায়াম করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস- কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি সরাসরি ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। একই সঙ্গে, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং কমাতে সাহায্য করে। চিনির মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকা উচিত।
  • ওজন হ্রাস – টাইপ ২ ডায়াবিটিস থাকলে স্থূলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিএমআই বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রি-ডায়াবিটিস এবং ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। স্থূলতার কারণে পেশী এবং অন্যান্য টিস্যু তাদের নিজস্ব ইনসুলিন হরমোনের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে।এরপর অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ায়।

সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং ওজন কমানোর মাধ্যমে প্রি-ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

(Feed Source: hindustantimes.com)